সিলেটের জৈন্তাপুর থানা হাজতে নজরুল ইসলাম বাবু নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের আমলী আদালত-১ এর বিচারক মো. আতিকুল হায়দারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা রোকেয়া বেগম।  মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে- জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউল কবীরকে। মামলায় একই থানার এসআই শফিকুর রহমান, এএসআই হুমায়ুন, এএসআই জয়নাল, কনস্টেবল আব্দুল হান্নানকেও আসামী করা হয়েছে।

এছাড়া মামলায় নিহত নজরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী উপজেলার উমনপুর এলাকার নাছরিন ফাতেমা, আব্দুল হান্নান, নোমান আহমদ, শাহরিয়ার মাহমুদ কেত, নাজমূল হোসেন ও মইনুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে।  এদিকে, হেফাজতে আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় এক উপ পরিদর্শক (এসআই)সহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান তাদের বরখাস্ত করেন বলে জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সুজ্ঞান চাকমা। সামিয়ক করখাস্তকৃতরা হলেন- জৈন্তাপুর থানার এসআই শফিকুর রহমান, এসএসআই জয়নাল আবেদিন, কনস্টেবল আক্কাস আলী ও কনস্টেবল নান্টু চাকমা। সুজ্ঞান চাকমা জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অপরদিকে, নিহতের মায়ের দায়ের করা মামলার আইনজীবী এডভোকেট মো. লালা জানান, হেফাজতে নির্যাতন করে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ ইরেজি সনের ১৩/১ ও ১৩(২) তৎসহ দন্ডবিধি আইনের ৩৬৪/৩০২/৩৪/ ও ২০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন।  প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ভোররাতে জৈন্তাপুর থানা হেফাজতে নজরুল ইসলাম বাবু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও বাবুর পরিবারের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।  এর আগের রাতে বটেশ্বর এলাকা থেকে স্ত্রীর দায়ের করা নির্যাতন মামলার আসামী নজরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।