বার্তা ডেস্ক: ক্ষমতা ছাড়ার আগে ১৪০ জনের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাদের মধ্যে তার সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্ষমার এই ঘোষণা এলো হোয়াইট হাউজের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবমিলিয়ে ৭৩ জনকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭০ জনের সাজা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি কোন ক্ষমা ঘোষণা করেননি। ক্ষমা ঘোষণার ব্যাপারটি হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নিয়মিত ঘটনা। ক্ষমা ঘোষণা করা হলে তার বিরুদ্ধে থাকা সকল ফৌজদারি সাজা বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে তিনি কারাদণ্ড কমিয়েও দিতে পারেন। ফেডারেল মামলার ক্ষেত্রে ক্ষমা করার জন্য প্রেসিডেন্টের অসীম ক্ষমতা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অনেকের জন্যই ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচনী প্রচারণা ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের সহযোগী রজার স্টোন এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের পিতা চার্লস। উল্লেখযোগ্য যে ব্যক্তিদের ক্ষমা করা হয়েছে:

স্টিভ ব্যানন: তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় অন্যতম প্রধান কৌশলবিদ এবং উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার জন্য তহবিল সংগ্রহে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের অগাস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন, আরও তিনজনের সঙ্গে মিলে ব্যানন তহবিল থেকে লাখ লাখ ডলার সরিয়েছেন। তিনি নিজে অন্তত এক মিলিয়ন ডলার নিয়ে ব্যক্তিগত খরচ মিটিয়েছেন। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লিল ওয়েইন: তার আসল নাম ওয়েইন কার্টার। গত বছর অস্ত্র সংক্রান্ত ফেডারেল অভিযোগে তার সাজা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অপরাধী সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন।

কোডাক ব্ল্যাক: তার আসল নাম বিল কে কাপরি, তার বিরুদ্ধেও অস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। তার তিন বছর ১০ মাসের সাজা হয়েছিল।

কাওমি কিলপ্যাট্রিক: ডেট্রয়েটের সাবেক মেয়র কিলপ্যাট্রিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকার সময় চাঁদা ও ঘুষ গ্রহণ, হুমকি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

অ্যান্থনি লেভানডোস্কি: ১৮ মাসের সাজা থেকে পূর্ণ ক্ষমা পেয়েছেন লেভানডোস্কি। তিনি ছিলেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী, যিনি প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য চুরি করার কথা স্বীকার করেছিলেন।

ক্ষমার ঘোষণায় বলা হয়েছে, “তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি যথেষ্ট মূল্য দিয়েছেন এবং মানুষের ভালোর জন্য তিনি নিজের মেধা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন।”রিক রেনজি: অ্যারিজোনা থেকে নির্বাচিত রিপ্রেজেন্টেটিভ রিক রেনজি ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি, ঘুষ গ্রহণ, বীমা জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই বছরের নজরদারি আর ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।এলিয়ট ব্রোডি: তিনি রিপাবলিকান তহবিল সংগ্রহকারী, যিনি চীনা এবং মালয়েশিয়ান স্বার্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে লবিং করার জন্য তহবিল গ্রহণ করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn