অবৈধভাবে চাল মজুদকারী ১৬ হাজার মিল মালিককে (মিলার) চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। তাদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।  বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চাল আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী চালের বাজার অস্থিরতার পেছনে অসাধু মিল মালিকদের দায়ী করলেও এবার তাদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করা হলো।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড় অঞ্চলে অকাল বন্যা হওয়ার পর থেকেই অসাধু মিল মালিকরা চাল মজুদ শুরু করে। ফলে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণও অবৈধ মজুদ। যে সব মিল মালিকরা অবৈধভাবে চাল মজুদ করেছে, তাদের আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিন বছরের জন্য তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমরা চাল ক্রয় করব না।  চালের আমদানি শুল্ক কমানোর পর চাল আমদানি শুরু হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে চাল আসছে। যদিও ভারত তাদের চালের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও চাল আসছে। শুল্ক কমানোর পর ইতোমধ্যে ভারত থেকে বেসরকারি উদ্যোগে ৮৪ হাজার টন চাল এসে পৌঁছেছে।

ভিয়েতনাম থেকে ২০ হাজার টন চাল চট্টগ্রাম বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কাস্টমসের ক্লিয়ারেন্স শেষে এই চাল খালাস হবে। এ ছাড়া ১৮ জুলাই আরো ২২ হাজার টন, ২৪ জুলাই ২১ হাজার টন, ৩০ জুলাই ২৪ হাজার টন চাল আসবে। আগস্টের মধ্যে আরো এক লাখ ৪০ হাজার টন আসবে।  মন্ত্রী জানান, আগামী রবিবার ভারতের প্রতিনিধি দল আসবে। ২৪ জুলাই আসবে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল। ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানিতে চুক্তি হবে। এ ছাড়া আগামী ১ বা ২ আগস্ট কম্বোডিয়া থেকে চাল আনার ব্যাপারে চুক্তি সই করতে যাবো। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn