৪ মাসে ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জনের প্রাণহানি
চলতি বছরের ৩১শে মে পর্যন্ত শুধু ঢাকা মহানগরীতেই গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ২৫ হাজারটি। চলতি অর্থবছরে ঢাকা মহানগরীতে ১ লাখ ৮০ হাজার ১৮টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে। আপাতত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের নেই। গতকাল সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে, এটি ঠিক নয়। বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায় দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪২৭টি এবং ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৬টি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত গত ৪ মাসে সারা দেশে ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত এবং ৭১৬ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ধারাবাহিকভাবে প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তিনি আরো জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্যোগ হিসেবে সরকার সারা দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে ২২৭টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করেছে। তন্মধ্যে শতাধিক ব্ল্যাক স্পটে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বা অনুরূপ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সরকার ২০০৯-২০১৬ মেয়াদে (বর্তমান সরকারের দু’মেয়াদের ৮ বছর) সারা দেশে ৭৩২টি সেতু এবং ৩ হাজার ২৩৪টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ করেছে। সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গায় প্রায়শই অসাধু লোকজন দখল করে থাকে। এ সমস্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সকল সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে যে সব স্থানে অবৈধ দখলদার আছে সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, মেহেরপুর ও পিরোজপুর এলাকায় উক্ত কার্যক্রম চলছে।