৯ দিন ধরে নিখোঁজ আ.লীগের চার নেতা
৯ দিন পেরিয়ে গেলেও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে নিখোঁজ চার আওয়ামী লীগ নেতার হদিস মেলেনি। নিখোঁজদের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, পুলিশের অভিযানে নিখোঁজরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের গুম করা হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে। বাঁশগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজদের পরিবার ও এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত ২৬ মে বাঁশগাড়িতে আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তফা নামে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রূপ মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিব। ৯ দিনেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের তথ্য ও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ডা. আবু নাসের বলেন, ‘ঘটনার পর প্রথম দু-একদিন পুলিশ স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করছে। এতে তাঁদের গুম করে ফেলার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অতি দ্রুত তাঁদের আইন অনুযায়ী আদালতে পাঠানোর দাবি জানাই। ’
নিখোঁজ রূপ মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ‘এলাকায় পুলিশ রেড দিয়ে আমার সামনে থেকে স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেন। ’ এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শহিদ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহের আলী, নিখোঁজ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুলের বড় ভাই হোরন আলী প্রমুখ। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘রূপ মিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সমর্থকরা তাঁকে ছিনিয়ে নিয়েছে। বাকিদেরও আমরা গ্রেপ্তার করিনি। মূলত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা এই মিথ্যা দাবি তুলছে।’