দরকষাকষিতে আটকে আছে ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে পাঠানে প্রকল্প প্রস্তাবে চায়না হারবার জানায়, সওজের প্রাক্কলনে ৭০ শতাংশ ইউনিটের মূল্য ধরা হয়েছে ২০১৫ সালের শিডিউল রেট অনুসারে। বাকি ৩০ শতাংশ ইউনিটের মূল্য ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের বাজারদরের প্রেক্ষিতে। যদিও সওজের প্রস্তাবিত ব্যয় বাজারদরের চেয়ে বেশি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-সিলেট চার লেন জি টু জি-ভিত্তিক প্রকল্প। আর এ প্রকল্পে অন্যান্য জিটুজি প্রকল্পের চেয়ে তুলনামূলক কম ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা রেল সংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কর্ণফুলী টানেলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে ৫৮ শতাংশ ও পদ্মা রেল সংযোগ ৩৪ শতাংশ বেশি ব্যয়ে চুক্তি করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সওজের প্রস্তাবিত দর স্থানীয় ঠিকাদারদের ও ছোট প্রকল্পের জন্য প্রযোজ্য। তবে আন্তর্জাতিক ঠিকাদার ও বড় প্রকল্পে এ দর গ্রহণযোগ্য নয়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রকল্পটির ইউনিট মূল্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে চায় না হারবার। পাশাপাশি প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন খাতে বরাদ্দ রাখা দরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চায়না হারবার কোম্পানি যে প্রাক্কলন ব্যয় উল্লেখ করে প্রস্তাব করেছে সে অনুযায়ীই তাদের কাজ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে দরকষাকষি শেষে তারা যে চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়েছেন তা সওজের হিসাব থেকে ৪ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বেশি। ফলে প্রাক্কলন ব্যয় নিয়ে দরকষাকষিতেই আটকে যায় ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্পের কাজ।