বিভিন্ন সময় হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে সারাদেশে রোববার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে চিকিৎসা নিতে এসে সীমাহীন দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কয়েকদিন পরপর এমন কর্মসূচির ডাক না দিয়ে বিকল্পভাবে প্রতিবাদ জানানোর দাবি করেছেন রোগীরা।পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ’র ডাকা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট। এতে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের প্রাইভেট প্র্যাকটিস। দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীরা আগে থেকে ধর্মঘটের বিষয়টি না জানায় পড়েছেন ভোগান্তিতে।

পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী অনেক রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়েও পাননি ডাক্তারের দেখা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় তাদের কণ্ঠে ছিল ক্ষোভ। রোগীদের জিম্মি না করে আন্দোলনের বিকল্প উপায় ভাবতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এক রোগী বলেন, “গতকালই আমি কনফার্ম করেছি যে, ডাক্তার বসবেন। আজ এসে দেখি ধর্মঘট। আমি জানতামই না। এভাবে রোগীদের জিম্মি করে দাবি-দাওয়া আদায় করা যৌক্তিক না।” প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিজস্ব চিকিৎসকরাও ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে বিরত ছিলেন দায়িত্ব পালন থেকে। রোগ নির্ণয়সহ চিকিৎসা বিঘ্নিত হওয়ায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে এসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্মবিরতিতে রোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়লেও চিকিৎসকদের দাবি, প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে সরকারি হাসপাতালের জরুরী সেবা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, “চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার এবং তাদের নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।” এর আগে গত ২৩ মে সারাদেশে প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রেখেছিল বিএমএ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn