সাটুরিয়ায় যৌতুকের দাবিকৃত দেড় ভরি স্বর্ণ না পেয়ে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর আনন্দ মিয়াকে আটক  করেছে। নিহত গৃহবধূ রৌশনারা বেগমের পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে হত্যা করে বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর এলাকায় আত্মহত্যা করার কথা প্রচার করেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব চর তিল্ডি গ্রামে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার পারতিল্ডি গ্রামের মো. আ. রশিদের মেয়ে রৌশনারা বেগমের সঙ্গে পূর্ব চর তিল্ডি গ্রামের মো. আনন্দ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল ইসলামের ১৪ মাস আগে বিয়ে হয়। স্বামী শফিকুল ইসলামের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক দেয়ার পর বাকি ছিল দেড় ভরি স্বর্ণালংকার। মেয়ের বাবা ওই স্বর্ণ দিতে ব্যর্থ হলে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে দীর্ঘদিন ধরে রৌশনারার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

গত শনিবার গভীর রাতে স্বর্ণালংকার নিয়ে রৌশনারার সঙ্গে শফিকুল ঝগড়া করে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে পড়নের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। রোববার সকালে খবর পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে।   গৃহবধূ রৌশনারার ভাই মহিদুর রহমান জানান, তার বোনকে রাতভর অত্যাচার করে স্বামী শফিক ও শ্বশুর আনন্দ মিয়া ও শাশুড়ি রাবিয়া বেগম। তিনি আরও জানান, লাশের গায়ে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। সাটুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে তিল্ডি এলাকার এক শ্রেণির চিহ্নিত দালালরা পুলিশের উপস্থিতিতে মামলা করতে বিঘ্ন ঘটায় বলেও অভিযোগ করেন গৃহবধূর এই ভাই। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পেলে বলা মুশকিল। স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে নিহতের মা জয়মালা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গৃহবধূর শ্বশুর আনন্দ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn