জগন্নাথপুরে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ আসামী ধরতে গিয়ে নারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ দাবি করেছে, ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে ধরতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এসময় আসামী পক্ষের ২ নারী আহত হন। আহতরা হলেন- আফরাতুন নেছা ও আলেচা বিবি। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান- উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কান্দারগাঁও (নোয়াগাঁও) গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে সফরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানা একটি  মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। যার প্রেক্ষিতে জগন্নাথপুর থানার এসআই আবদুস সালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামী ধরতে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে সফরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের সাথে আসামী পক্ষের বাক বিতণ্ডা হয়। অপরদিকে আসামী সফরুল ইসলামের ভাতিজা মজর উদ্দিন জানান- পুলিশ আসামী ধরতে এসে ঘরের নারীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করেছে। পুলিশ প্রতিপক্ষের লোকজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা পুলিশের ওপর কোনো হামলা করিনি। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। নারীরা ছাড়া বাড়িতে কোন পুরুষ লোক ছিলো না। আমি নিজেও স্থানীয় হোসেনপুর বাজারে ছিলাম। এসআই সালাম তার অপরাধ ঢাকতে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন।

স্থানীয় কলকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস হাসিম জানান- শুনেছি পুলিশ আসামী ধরতে গিয়ে নারীরা একটু ছিল্লাছিল্লি করেছে। এতে পুলিশ ২ নারীকে পিটিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। পুলিশের ওপর হামলার কোন খবর জানি না। জগন্নাথপুর থানার এসআই আবদুস সালাম জানান- আসামী নিয়ে নৌকাযোগে ফেরার পথে আসামী পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর চড়া হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এতে আমিসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছি। জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান- আসামীকে ধরতে গেলে আসামীপক্ষের লোকজন ইমোশনালী বাধা প্রদান করে। পুলিশ এসল্ট মামলার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn