বিশেষ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ :: দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নে ফসলহারা কৃষকের জন্য বরাদ্দ বিশেষ ভিজিএফের দ্বিতীয় কিস্তির চালের জন্য ১৫০০ কৃষকের প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫০ টাকা করে বেআইনিভাবে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য সরকারি এ সহায়তা  প্রদানে জনপ্রতিনিধের দায়িত্বের মধ্যে পড়লেও  ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনুর নির্দেশে এই টাকা তোলা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।  ফসলহারা কৃষকরা জানান, দোহালিয়া ইউনিয়নের আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫০০ জন। দ্বিতীয় কিস্তুতে প্রত্যেক উপকারভোগী ৩০ কেজি করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল দেওয়া কথা। কিন্তু প্রত্যেক উপকারভোগীর বিপরীতে ইউপি চেয়ারম্যানের কথা বলে মালামাল পরিবহন খরু বাবদ ৫০ টাকা করে দেওয়ার জন্য কৃষকদের চাপ দেওয়া হয়। সহায়তা পাওয়ার স্বার্থে ৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দিতে বাধ্য হন অসহায় কৃষক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।  দোহালিয়া ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মতিন ও আব্দুল বারিক ভিজিএফ প্রদানে টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পরিষদের সিদ্ধান্তে মালামাল পরিবহনের জন্য প্রত্যেক উপকারভোগীর নিকট থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনুর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা  হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘ভিজিএফের চালের জন্য দোহালিয়া ইউনিয়নে কৃষকের নিকট থেকে ৫০টাকা করে আদায়ের খবর পেয়েছি। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।  যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে আগামী দিনের মধ্যে সেই টাকা সংশ্লিষ্টদের ফেরৎ দিতে নির্দেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিবারে চাল বিতরণ করা হবে। ওই সময় কোন উপকারভোগী যদি বলেন যে তার কাছ থেকে আদায় করা টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়নি তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অভিযোগের এ ব্যাপরে খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn