ছাতকে বোরো ফসলহানি ও চুনাপাথর ব্যবসা বন্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবারের ঈদবাজারে। গ্রামের সিংহভাগ জনগোষ্ঠি আর্থিক দৈন্যতায় ঈদের কেনাকাটায় শরীক হতে পারছেন না। পাথর ব্যবসার মন্দাভাবও ঈদবাজারে প্রভাব ফেলেছে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে নিরানন্দের হাতছানি দিচ্ছে হাওর পাড়ের মানুষের ঘরে-ঘরে। মাত্র কয়েকদিন পড়েই ঈদের আনন্দে মেতে উঠবে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব। কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ সিংভাগ ফসলহারা মানুষ থাকবে ঈদ আননেন্দর বাইরে। পাশপাশি পাথর ব্যবসায় মন্দাভাব ও চুনাপাথর আমদানী বন্ধ থাকায় এখানের ব্যবসায়ীমহল ও লক্ষাধিক শ্রমিক তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এসবের পরেও দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনের পর মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে মেতে উঠতে শেষ চেষ্টায়   লড়ছেন এখানের মানুষ। ধার-কর্জ, এনজিও ঋণ, দাদন, অগ্রিম মুজুরীসহ বিভিন্নভাবে ঈদের আনন্দে শরীক হতে শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফসল বঞ্চিত মানুষ। প্রকৃতির বৈরী পরিবেশ উপেক্ষা করে ঈদের শেষ কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা। শহরের ছোট-বড় বিপণী বিতান ও শপিং কমপ্লেক্স সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের পদচারনায় কিছুটা প্রানবন্দ হয়ে উঠছে। ঈদের শেষ কেনাকায় বেশীরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিু মধ্যবিত্ত পরিবারের। বিত্তহীন ও শ্রমিক শ্রেনীর মানুষদেও ঈদবাজারে তেমন দেখা যাচ্ছে না। ক্রেতা সংকট ও বিক্রি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে রিাজ করছে হতাশা। তাহির প্লাজার আল-মদিনা গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী জনী জানান, দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের আগমন ঘটছে। তার দোকানে পর্যাপ্ত ও পছন্দের পোষাক থাকলেও বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হচ্ছে। দেওয়ান প্লাজার টপ কালেকশন সু-ষ্টোরের মালিক শাহীন চৌধুরী জানান, কেতাদের পছন্দ করার মতো কালেকশন রয়েছে তার দোকানে। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। প্রেসক্লাব রোডের নন্দ ফ্যাশনের মালিক মানিক তালুকদার জানান, আধুনিক পোষাকের ব্যাপক সমাহার রয়েছে তার দোকানে। ক্রেতারাও আসছেন পর্যাপ্ত। কিন্তু বিক্রি তুলানমুলক কম। দিব্য ফ্যাশনের মালিক বাবলা দাস জানান, ঈদবাজারে অনেকটা মন্দাভাবের কারনে অনেক মাল আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn