দেশের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক মাধবকুÐে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির ৬দিন অতিবাহিত হলো সোমবার। এ দিনও দূর-দূরান্ত থেকে আগত অনেক প্রকৃতিপ্রেমী হতাশ হয়ে ইকোপার্কের প্রধান ফটক থেকেই বিফল মনোরথে ফিরে যান।  স্থানীয় বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ নিচের দিকে দেবে মাটি সরে যাওয়া বিধ্বস্ত রাস্তায় বালির বস্তা ফেলে চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জলপ্রপাতের রাস্তায় ফাটল, সিঁড়ির নিচের মাটি সরে যাওয়া, ভূমিধ্বস ও দেবে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকপূর্ণ হয়ে পড়ে। অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন গত ২১ জুন থেকে মাধবকুণ্ড পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা মাধবকুণ্ড। ঈদে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ইকোপার্কের আশপাশ এলাকা। এবার দুর্যোগে মাধবকুণ্ড এলাকার রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ধ্বস নামার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে সোমবার বিকেলে মাধবকুণ্ডের অভ্যন্তরীণ রাস্তার ফাটল, ভূমিধ্বস ও নিচের দিকে দেবে যাওয়া অংশে মেরামতের কাজ চলতে দেখা গেছে। বনবিভাগ বালুর বস্তা দিয়ে মাটি সরে যাওয়া অংশে ঢুকিয়ে  মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে মাধবকুণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলেও পর্যটক আগমন থেমে নেই। চট্টগ্রাম থেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে বেড়াতে যান ব্যবসায়ী খোকন বড়–য়া। নিরাপত্তাকর্মীরা ইকোপার্কের গেটেই আটকে দেয়ায় প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুণ্ডের কাছে এসেও না দেখে ফিরে যান। বেড়াতে আসা কক্সবাজারের রামু উপজেলার ব্যাংকার কপিল বড়ুয়া জানান, অনেক কষ্ট করে মাধবকুÐ এসে শেষ পর্যন্ত না দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ছবি দেখেই তুষ্ট থাকতে হবে। বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, পর্যটকের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই উপজেলা প্রশাসনের পরামর্শক্রমে গত ২১ জুন থেকে মাধবকুণ্ডের পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ধ্বসে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ দ্রæত সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn