বৈধ ভিসা, টিকিট ও হোটেল বুকিং থাকার পরও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ইন্টান্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কেএলএআই) থেকে প্রতিদিন ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছাত্র এবং প্রকৃত পর্যটকের সংখ্যাই বেশি। ভুক্তভোগী সাধারণরা নিরুপায় হয়েই চুপ থাকছেন আর হাইপ্রোফাইলের পর্যটকরা মুখ খুলছেন না মান-সম্মানের ভয়ে। তারা বলছেন, ঘুষ ছাড়া পার হওয়া যাচ্ছে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতে গোনা দু’চারজন কেএলএআইতে দালালদের মাধ্যমে যারা কন্ট্রাক্ট করে তারাই কেবল সেখানকার ইমিগ্রেশন পার হতে পারছেন। এভাবে পার হতে ৫ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট করতে হয়। যদিও প্রকৃত পর্যটকদের এ ধরনের কন্ট্রাক্ট করার ইতিহাস নেই। যে কারণে বিমানবন্দরের ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে অনেকে।

গত ৩ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে বৈধ ভিসা নিয়ে মালিন্দু এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬৫ ফ্লাইটে চড়ে কেএলএআইতে পৌঁছান একটি স্বনামধন্য গ্রুপের ম্যানেজার এইচআর। নিজের নাম ও কোম্পানির নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে তিনি  বলেন, আমি ভারত, নেপাল, মিয়ানমার ও চায়না সফর করেছি। সঙ্গে থাকা আরো এক বন্ধুর পাসপোর্টেও তিন দেশের ভিসা ছিল। অথচ সেখানকার এক তামিল বংশীয় এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আমাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট টিকিট নিয়ে আমাদের ৩ ঘণ্টা বসিয়ে বসিয়ে রেখে অন্যায়ভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয় এবং ৫ তারিখের ফ্লাইটে আমাদের সহ ওইদিনের ফ্লাইটে যাওয়া ৯০ শতাংশ যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীরা এই অমানবিক আচরণের অবসান চান মালয়েশিয়া সরকারের কাছে। তারা মনে করেন বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ তার নাগরিকদের অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাতে মালয়েশিয়ার প্রতি চাপ সৃষ্টি করা।

এ বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ এবলেন, কোনো কোনো ফ্লাইটের ৯০ শতাংশ যাত্রী ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ইমিগ্রেশন পার হতে না পারা যাত্রীরা দেশে এসে তাদের লাগেজও পাচ্ছেন না। বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রতিনিয়তই এ ধরনের ফেরত যাত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে হলে সহযোগিতা করতে পারতাম। কেএলএআইতে আমরা কি করবো বলেন। বিষয়টিকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক কূটনৈতিক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রত্যেক দেশের উচিৎ একে অপরকে সন্মান দেওয়া। ৯০ শতাংশ পর্যটককে ফেরৎ দেয়ার বিষয়কে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সমস্যা নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের কথা বলা উচিত।

ঘুষ ছাড়া পার হওয়া যাচ্ছে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন দৈনিক সিলেট ডট কম : July 7, 2017 10:49 am| সংবাদটি 136 বার পাঠ করা হয়েছে দৈনিকসিলেটডেস্ক:বৈধ ভিসা, টিকিট ও হোটেল বুকিং থাকার পরও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ইন্টান্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কেএলএআই) থেকে প্রতিদিন ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছাত্র এবং প্রকৃত পর্যটকের সংখ্যাই বেশি। ভুক্তভোগী সাধারণরা নিরুপায় হয়েই চুপ থাকছেন আর হাইপ্রোফাইলের পর্যটকরা মুখ খুলছেন না মান-সম্মানের ভয়ে। তারা বলছেন, ঘুষ ছাড়া পার হওয়া যাচ্ছে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতে গোনা দু’চারজন কেএলএআইতে দালালদের মাধ্যমে যারা কন্ট্রাক্ট করে তারাই কেবল সেখানকার ইমিগ্রেশন পার হতে পারছেন। এভাবে পার হতে ৫ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট করতে হয়। যদিও প্রকৃত পর্যটকদের এ ধরনের কন্ট্রাক্ট করার ইতিহাস নেই। যে কারণে বিমানবন্দরের ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে অনেকে। গত ৩ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে বৈধ ভিসা নিয়ে মালিন্দু এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬৫ ফ্লাইটে চড়ে কেএলএআইতে পৌঁছান একটি স্বনামধন্য গ্রুপের ম্যানেজার এইচআর। নিজের নাম ও কোম্পানির নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ভারত, নেপাল, মিয়ানমার ও চায়না সফর করেছি। সঙ্গে থাকা আরো এক বন্ধুর পাসপোর্টেও তিন দেশের ভিসা ছিল। অথচ সেখানকার এক তামিল বংশীয় এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আমাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট টিকিট নিয়ে আমাদের ৩ ঘণ্টা বসিয়ে বসিয়ে রেখে অন্যায়ভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয় এবং ৫ তারিখের ফ্লাইটে আমাদের সহ ওইদিনের ফ্লাইটে যাওয়া ৯০ শতাংশ যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীরা এই অমানবিক আচরণের অবসান চান মালয়েশিয়া সরকারের কাছে। তারা মনে করেন বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ তার নাগরিকদের অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাতে মালয়েশিয়ার প্রতি চাপ সৃষ্টি করা। এ বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ এবলেন, কোনো কোনো ফ্লাইটের ৯০ শতাংশ যাত্রী ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ইমিগ্রেশন পার হতে না পারা যাত্রীরা দেশে এসে তাদের লাগেজও পাচ্ছেন না। বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রতিনিয়তই এ ধরনের ফেরত যাত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে হলে সহযোগিতা করতে পারতাম। কেএলএআইতে আমরা কি করবো বলেন। বিষয়টিকে অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক কূটনৈতিক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রত্যেক দেশের উচিৎ একে অপরকে সন্মান দেওয়া। ৯০ শতাংশ পর্যটককে ফেরৎ দেয়ার বিষয়কে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সমস্যা নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের কথা বলা উচিত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn