জগন্নাথপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধারবাহিকভাবে একটানা দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস ধর্ষণের ঘটনায় লম্পট যুবক রুবেল মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামের মৃত মনাই সাধুর ছেলে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে খাগাউড়া গ্রামের মৃত মনাই সাধুর ছেলে রুবেল মিয়া একই গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহিদের কন্যা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় কৌসলে লম্পট রুবেল ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীর অনিচ্ছা সত্বেও দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস তাকে জিম্মি করে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি ঘটে খাগাউড়া গ্রামের জনি মিয়ার বাড়িতে। এতে জনি মিয়া লম্পট রুবেলকে সহযোগিতা করে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। ঘটনাটি নিস্পত্তির পর স্কুল ছাত্রীর চাচা ফারুক মিয়ার সাথে জনি মিয়ার বিরোধ দেখা দিলে এবং উক্ত ধারণকৃত ভিডিও চিত্রটি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দিলে এ ঘটনাটি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। অবশেষে শুক্রবার স্কুল ছাত্রীর আরেক চাচা সুহেল মিয়া বাদী হয়ে লম্পট রুবেল মিয়া ও জনি মিয়াকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ খাগাউড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে লম্পট রুবেলকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতকে শনিবার সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, দরিদ্র পরিবারের অসহায় স্কুল ছাত্রীকে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, তা ভিডিও করে তাকে জিম্মি করে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও লোক লজ্জার ভয়ে কলেজে ভর্তি হয়নি। সেই সাথে সে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও সহযোগি পলাতক রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn