‘সে কারণে এখনো নামাজ পড়তে গিয়ে সেজদা দিতে পারি না’
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সঙ্গে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের। তিনি বলেন, ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। বাংলা ভাই-শায়খ আব্দুর রহমানদের উত্থান বিএনপির আমলেই হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চট্টগ্রামে, বরিশালের গৌরনদী, নাটোর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়েছিল। কই খালেদা জিয়ার ওপর তো কোনা হামলার কথা শোনা যায়নি।
কাদের বলেন, আমরা কি বেগম জিয়ার মিটিংয়ে হামলা চালিয়েছি? আওয়ামী লীগের আহাসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এম এম এস কিবরিয়া, সাংবাদিক মানিকসহ কত নাম বলবো যাদের হত্যা করা হয়েছে। কত গুম, কত খুন করেছে বিএনপি তার হিসাব নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নামে ২৫০ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখনো বার্ন ইউনিটিতে আহাজারি শোনা যায়।
প্রিন্ট মিডিয়ার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক একটি দল। আমাদের ঘরোয়া গণতন্ত্র, তর্ক-বিতর্ক নিয়ে, সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করুন। তথ্য যাচাই না করে রঙ চড়ানোর দরকার আছে কি? অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের সমালোচনা আমরা করবো। কেউ কেউ এমন বিষয় নিয়ে আসেন, যেগুলো তথ্য নয়। আংশিক সত্যও আসে না।
তিনি বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা করলে আমরা দল হিসাবে শুদ্ধ হতে পারি। গণমাধ্যমকে আমরা শত্রু মনে করি না। সারাদেশে ৩১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় খুব ভালোভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়নি বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে খবর আসে না। এটা যদি বিএনপি করতো তবে বড় করেই খবর প্রকাশ হতো। বৃহস্পতিবার সারাদেশে ৩১ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২ স্থগিত হয়েছে বন্যাজনিত কারণে। বাকি ২৯টিতে আ. লীগ ২২, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ৩টিতে জয়লাভ করে। কাদের বলেন, তৃণমূলে আমরা শক্তিশালী, আমরা মুখে বলি না, কাজেও দেখিয়েছি। তৃণমূলে যারা শক্তিশালী তারাই আগামী নির্বাচন জিতবে।