চলছে বর্ষাকাল, বৃষ্টি-বদলা লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ বা অফিস যাওয়ার পথে আপনার শখের স্মার্টফোনটি হাত ফসকে পানিতে পড়ে যেতেই পারে। আবার কখনো হোটেল রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়ে ভিজে যেতে পারে ফোনটি। এখন প্রশ্ন হল, সব স্মার্টফোন তো আর ওয়াটার-রেসিস্ট্যান্ট হয় না। সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি পানিতে পড়ে গেলে কী করবেন আর কী করবেন না? জানতে এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিন!
১. যত দ্রুত সম্ভব মুছে নিন ও ফোন অফ করুন:
স্মার্টফোন জলে পড়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে তুলে ফোনটি একটি পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন ও সুইচ অফ করে রাখুন। কোনও হেডফোন বা ইউএসবি লাগানো থাকলে অবশ্যই খুলে রাখুন। পারলে ফোনটি একটি শুকনো তোয়ালেতে জড়িয়ে রাখুন। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত জল তোয়ালেটি টেনে নেবে।
২. সার্ভিস সেন্টারে মিথ্যা বলবেন না:
ধরা যাক, আপনার স্মার্টফোনটি ওয়ার‍্যান্টি পিরিয়ডের মধ্যেই রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্মাতা সংস্থার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আপনি ফোনটি বিনামূল্যে সারিয়ে নিতেই পারেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ড্যামেজ রিপেয়ার হবে, সেটা আগে থেকেই স্পষ্টভাবে জেনে রাখুন। সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে মিথ্যা বলে লাভ নেই। প্রতিটি স্মার্টফোনের ভেতরে ‘ইমারসন সেন্সর’ থাকে। কোনও তরলের সংস্পর্শে এলেই তার রং পালটে যায়। আপনার ফোন যদি হাত ফসকে পানিতে পড়ে যায়, অথচ আপনি সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সে কথা অস্বীকার করেন, তাহলে কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হবে না।
৩. হেয়ার-ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না:
ভেজা চুল শুকোতে বাড়িতে যে হেয়ার-ড্রায়ার থাকে, সেটা ভুলেও যেন ফোনের ভিতর পানি ঢুকে গেলে শুকোনোর জন্য ব্যবহার করবেন না। কারণ, হেয়ার-ড্রায়ার থেকে যে গরম হাওয়া বেরোয়, তা আপনার ফোনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের ক্ষতি করতে পারে। অনেকে ফোনটি ওভেনের পাশে রেখেও শুকোনোর চেষ্টা করেন। এই প্রবণতাও কিন্তু বিপজ্জনক।
৪. নোনা জলে পড়লে সর্বনাশ:
পরিষ্কার পানিতে ফোন পড়ে গেলে ও তার ভিতরে জল ঢুকলে তবু স্মার্টফোনটি ঠিক হওয়ার কিছুটা আশা থাকে। কিন্তু সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে হাত ফসকে নোনা জলে ফোন পড়ে গেলে সেটা ঠিক হওয়ার আশা প্রায় থাকে না বললেই চলে। সেক্ষেত্রে ফোনটি সমুদ্র থেকে তুলে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না যেন।
৫. ডেটা ব্যাক-আপ নিয়ে রাখুন:
ফোন ফিরে না পেলেও অনেকের কাছে ওই ফোনে সংরক্ষিত ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। তাই ফোনটি অবিলম্বে পানি থেকে তুলে ‘অন’ করতে পারলেই আগে ডেটা ‘ব্যাক-আপ’ নিয়ে রাখুন। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ছবি, ব্যাংকিং তথ্য, কন্টাকটস-সব কিছুরই ব্যাক-আপ আগে থেকে নিয়ে রাখা সম্ভব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn