গত পাঁচ বছরের ফল পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের  এইচএসসির ফলাফলে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। গত চারবছরের তুলনায় গতবছর কমেছিল পাসের হারও জিপিএ-৫।
তবে এ বছর গত বছরের তুলনায় পাসের হার আরো কমেছে। কমেছে  জিপিএ-৫।  পাঁচ বছরের মাথায় এ বিপর্যয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের  বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে এ শিক্ষাবোর্ডে ৪২ হাজার ৯৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছিল ৩১ হাজার ২৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিল  ১ হাজার ৬২৪ জন। পাশের হার  ছিলো ৭২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
২০১১ সালে ৪৭ হাজার ৭৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ৩৩ হাজার ৯৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৮০২ জন। পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
২০১২ সালে ৫৩ হাজার  ৯৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ৩৯ হাজার ২৪  জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিল  ৩ হাজার ১৫৫ জন। পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
২০১৩ সালে ৬৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ৩৮ হাজার ৯৮৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৭৭২ জন। পাসের হার ছিল ৬১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২০১৪ সালে ৭৭ হাজার ৫২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল  ৫৪ হাজার ৩১২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২ হাজার ৪৪৬ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ।
২০১৫ সালে ৮০ হাজার ৭০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ৫১ হাজার ২৪৩ জন। পাসের হার ছিলো ৬৩ দশমিক ৪৯
শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২ হাজার ১২৯ জন।২০১৬ সালে ৮৬ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৬ হাজার ১ জন। পাসের হার ছিলো ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২ হাজার ২৫৩ জন।
২০১৭ সালে ৮২ হাজার ৪১৪ জন পরীক্ষার্থীর  মধ্যে পাস করেছে ৫০ হাজার ৩৪৭ জন। পাসের হার ৬১ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn