ময়মনসিংহে আইনুল হত্যা মামলায় চাচা-ভাতিজার যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের রাঘবপুরে চাঞ্চল্যকর আইনুল হক হত্যা মামলায় চাঁন মিয়া ও তার ভাতিজা মজিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মামলার সাত আসামির মধ্যে দণ্ডিত চাঁন মিয়ার চার সহোদরসহ পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার বিকালে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক বেগম মেহেরুন্নেসা এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল গফুর খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মনোয়ারা পারভীন মামলা পরিচালনা করেন।
রায়ের বিবরণে জানান যায়, ২০০৩ সালের ১১ জুলাই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চররাঘবপুরের আইনুল হক বাড়ি ফেরার পথে টঙ্গীবাড়িঘাটে আসামিরা দা, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আইনুল হক মারা যান। এ ঘটনায় সাতজনের নামে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক একই গ্রামের প্রতিবেশী কদম আলীর (একই মামলায় খালাসপ্রাপ্ত) ছেলে মজিবর রহমান (পলাতক) ও রজমান আলীর ছেলে জামিনে মুক্ত আসামি চাঁন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত চাঁন মিয়ার চার সহোদর আবু মিয়া, আদম আলী, কদম আলী ও কালু মিয়া এবং আবেদ আলীর ছেলে আমজাদ আলী নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বেকসুর খালাস পান।