শুধু জয় বাংলা শ্লোগান দিলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হওয়া যায়? যার রক্তে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপরাধীর রক্ত, সে কি করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মর্যাদা বুঝবে? সে কি করে এই রক্তে ভেজা মাটিকে ভালবাসবে? কখনই সম্ভব না। শুধু আওয়ামী লীগে যোগদান করলেই আওয়ামী লীগার হওয়া যায় না। এটা বঙ্গবন্ধুর দল, এটা তাজউদ্দীন আহমেদের দল, সৈয়দ নজরুল ইসলামের দল। এই মানের নেতাদের হাতে গড়া এই দলে যাকে তাকে নেয়া যায় না। যে কেউ বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হবার যোগ্যতা রাখে না।

এত কি দেউলিয়া হয়ে পড়লো আওয়ামী লীগ যে তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দলে দূষিত জামাতী রক্তের লোকদের নিতে হবে? তার কোটি কোটি ত্যাগী কর্মীদের মধ্যে কেউ নেতৃত্বে আসার যোগ্য নয়? আমার বিশ্বাস, যারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের দাম বোঝে, চার নেতার আমৃত্যু বিশ্বস্ততার উদাহরণকে বুকে ধারণ করে, শুধু বেছে বেছে তাদের নিলেও কোটি জনতা পাওয়া যাবে দলে। আমরা যেন বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক চিনতে ভুল না করি। এরা যারা ঢুকছে তারা শুধু স্বার্থের জন্য ঢুকছে, দেশটাকে শুষে রক্তশূন্য করার জন্য।

বার বার বঙ্গবন্ধু কন্যা বারণ করছেন বিপরীত আদর্শের লোক দলে না নিতে। তারপরও ঢুকছে কিভাবে? অনেকেই বলছেন পিতার অপরাধে কেন সন্তান শাস্তি পাবে। আমার প্রশ্ন, পিতা যে অপরাধ করেছিলো সেটা কি তারা কখনও স্বীকার করেছে? তার জন্য পিতাকে বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে? তারা নিজেরা কি মাফ চেয়েছে পিতৃপুরুষের অপরাধের জন্য? নাকি সেই অপরাধী পিতার নষ্ট সম্পদ ভোগ করে সেই টাকা দিয়েই এখন সমাজে, দলে জায়গা দখল করছে? এর পরিণতি ভাল হবে না।

জামাতের রক্তে বিষ আছে, যেখানে সেই বিষ ঢুকবে, তাকেই ধ্বংস করবে। দল বা দেশকে ধ্বংসের জন্য তখন দোষ কার বেশী হবে – জামাতের? জামাতী অনুপ্রবেশকারীর? নাকি যারা তাদের দলে ঢুকাচ্ছেন তাদের? আমাদের খুব কষ্টে পাওয়া এই দেশটা অনেক আশা নিয়ে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি, সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করবেন না – এক শহীদ সন্তান হিসেবে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn