সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো থেকে অব্যাহত হুমকি ও ঝুঁকি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ ও অবস্থানে সতর্কতার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।গত ২৪ আগস্ট মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে এ ঘোষণা দেয়া হয়। গত ৫ জানুয়ারি দেয়া সতর্ক বার্তার পরিবর্তে নতুন করে এ নির্দেশনা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র।এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চললেও এখনও সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মার্কিন নাগরিকরা সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশ সফরের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।গত ২৪ আগস্ট থেকে আংশিক অনুমোদিত নতুন নিয়মের প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই অনুমোদনে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব দম্পতিকে ঢাকায় থাকা বা ঢাকায় ফেরার ব্যাপারে সম্মতি দেয়া হয়।এর আগে শুধু মার্কিন সরকারের প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকতে বা ফিরে আসতে অনুমতি পেতেন।

নতুন নির্দেশনায় মার্কিন সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের হেঁটে, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, রিকশা বা অন্য অরক্ষিত যানে রাস্তা ও ফুটপাতে চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের যেকোনো জনসমাগম, ভবনে যাতায়াত ও বসবাসের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধের কথাও বলা হয়েছে।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কঠোর নিরাপত্তায় বসবাস ও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।চলতি মার্চে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং সিলেটে এক বোমার বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন নিহত হয়।গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলায় বিদেশিসহ ২০ জন নিহতের পর এটিই ছিল দেশের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।অন্যদিকে গত বছরের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে অব্যাহত সন্ত্রাসী হুমকি ও হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বসবাস, কাজ ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে কড়া নিরাপত্তা চাওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশে ইউএস মিশনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নীতি যেকোনো সময় অগ্রিম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণের কথাও জানানো হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn