মাঝে তরুণী জুলিজা, বামে নতুন স্বামী মনিরুল, ডানে পূর্বের স্বামী আজগর আলী
ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসে টাঙ্গাইলের যুবক মনিরুলকে বিয়ে করেন মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস।এরপরেই খবর আসে ওই তরুণীর আগে থেকেই আরও এক বাংলাদেশি স্বামী রয়েছে।এখবর চাউর হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন নতুন স্বামী মনিরুলসহ ওই তরুণী।জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সখীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঈমান আলীর ছেলে ও সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুলের (১৭)। এরপর তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একপর্যায়ে জুলিজা শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলে আসেন।ওইদিন বিকালেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মনিরুলের বয়স কম হওয়ায় রাতে স্থানীয় মৌলভী দ্বারা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মামার বাসায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।এনিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় খবরও প্রকাশ হয়। সমস্যা শুরু হয় এরপর থেকেই। জুলিজার পূর্বের স্বামী মো. আজগর আলীর নজরে আসে ওই প্রতিবেদন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলিজার চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান।
সন্তানসহ আগের স্বামী মো. আজগর আলীর সঙ্গে জুলিজা
এ সময় জুলিজার আগের স্বামী মো. আজগর আলী বলেন, ১৯৯৬ সালে জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া চলে আসি। সেখানেই পরিচয় হয় জুলিজার সঙ্গে। ২০০৮ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় আমাদের। তাদের সংসারে চারটি ফুটফুটে সন্তানও রয়েছে।  তার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার ঝিগাতলা। সেই সন্তানদের ফেলেই শুক্রবার সে বাংলাদেশে চলে আসে।মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, মনিরুল বউমাকে নিয়ে সকাল থেকে কোথায় আছে বলতে পারি না। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।মনিরুলের মামা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মনিরুল তার বউকে নিয়ে সকালে বাসা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। তার পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn