আইএসে যোগ দেওয়া জার্মান তরুণীর ফাঁসি হতে পারে
ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেওয়ার জন্য জার্মানি ত্যাগ করে ইরাকে চলে আসে ১৬ বছরের লিন্ডা ওয়েনজেল। পরে মসুলে ইরাকি বাহিনীর অভিযানের সময় সে ধরা পড়ে। এবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। সম্প্রতি সাংবাদিকরা ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদীকে জার্মান এ তরুণীর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টিই আদালতের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি। তবে এর আগে জার্মান কিশোরী লিন্ডা ওয়েনজেলের সঙ্গে জার্মান বেসরকারি সংস্থা যোগাযোগ করে। তাদের সে জানায় যে, সে অনুতপ্ত। চায় নিজের বাড়ি ও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে। ইরাকের কারাগারে লিন্ডাকে এখন কনস্যুলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লিন্ডা জার্মানির ড্রেসডেনের কাছে পুলসনিৎজ নামে ছোট একটি শহরের বাসিন্দা। জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম এনডিআর এবং ওয়াইডিআর স্যুডডয়েচে জাইতুং পত্রিকাকে বলেন, বাগদাদের সামরিক ভবনে তাঁরা লিন্ডার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। লিন্ডা তাদের বলেছে যে সে নিজের দেশে ফিরতে চায়।লিন্ডা বলেন, ‘আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। আমি যুদ্ধ ছেড়ে চলে যেতে চাই। অস্ত্র, গোলমাল, সংঘর্ষ ছেড়ে চলে যেতে চাই। আমি আমার বাড়ি ও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই। ’
জামানির ফিরতে পারলে সে দেশের আইন অনুযায়ী অবশ্য তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। জার্মান সরকারও চেষ্টা করছে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তবে জার্মানির সঙ্গে ইরাকের বন্দী প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকায় এ প্রক্রিয়া মোটেও সহজ নয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাঁ উরুতে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান হাঁটুতেও আঘাতের চিহ্ন আছে। লিন্ডা জানায়, হেলিকপ্টারে হামলার সময় সে আহত হয়। গত গ্রীষ্মে পালনিৎজ এলাকায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল লিন্ডা। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি দলের সঙ্গে যোগসাজশ এবং পরিকল্পিত হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ ছিল। লিন্ডা আইএসের পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিল বলে জানা যায়। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট