এমসি কলেজে’র অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ কর্মী খালাস
কলেজ ক্যাম্পাসনে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীকে ধাওয়া করার মামলায় এমসি কলেজ ছাত্রলীগকর্মীদের খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৯ অক্টোবর) সিলেট মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো’র আদালত আসামীদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন আলতাফুর রহমান মুরাদ, তারেক আহমদ, শামসুল ইসলাম অপু ওরফে সালমান অপু, সৌরভ আচার্য, মনিরুজ্জামান অপন ও রবিউল হাসান। এর মধ্যে সৌরভ ও রবিউল ১৩ জুলাই কলেজ ছাত্রাবাস ভাঙচুর মামলার আসামী। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, খালাসপ্রাপ্ত মামলার আসামিরা আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকার বলয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। পুলিশি প্রতিবেদনে তাদেরকে এমসি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের পর থেকে এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে নেই ছাত্রদল। দীর্ঘদিন পর হওয়া নতুন আহ্বায়ক কমিটি গত ৩০ জানুয়ারি আনন্দ মিছিলের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে উঠতে চেয়েছিলো ছাত্রদল।
এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ প্রকাশ্যে দা, হকিস্টিক, রডসহ দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রদলকে ধাওয়া করে। গত ৩১জানুয়ারি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমসি কলেজ ছাত্রদলকে দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়াকারীদের ছবিসহ সংবাদ ছাপা হয়। এর প্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো’র আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কারা, কীভাবে দায়ী তা শনাক্ত ও ঘটনা তদন্ত করে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘দা উঁচিয়ে ধাওয়াকারী’ হিসেবে চিহ্নিত ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন।উল্ল্যখ্য, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর পর মার্চ মাসে আসামীদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে আত্নসমর্পন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামীদের কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।