মেঘালয় পাহাড়ের কূলঘেষে বের হয়ে আসা  তাহিরপুরের ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুপের নদী জাদুকাঁটায় সেইভ শ্যালে মেশিনে বালি লুটের ফের আয়োজন করছেন বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির বিতর্কিত এসআই।’ সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত থাকা এসআই তপন চন্দ্র দাস গত কয়েকমাস ধরে পুলিশের উর্ধত্বন কতৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তনদী জাদুকাঁটার তীরবর্তী ঘাগটিয়ার আর্দশ গ্রাম ও বড়ইবাগ এলাকায় সরকারি খাঁস ভুমি থেকে সেইভ-শ্যালে ড্রেজার মেশিনে বালু লুটের ব্যবস্থা করে দিয়ে বলগেট, ষ্টিলবাডি ট্রলার, পঞ্চবটি নৌকার সর্দার ও ব্যবসায়ীদের  নিকট থেকে থেকে প্রতিঘনফুট বালুর জন্য ২ টাকা হারে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিলেন।’ বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে স্থানীয় তহশীলদার বাদী হয়ে ১৭ বালু ব্যবসায়ীর নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও বালু লুটের মুল হোতাদের ওই মামলায় অদৃশ্য কারনে আসামী করা হয়নি।’
এদিকে মামলার পর বালু লুটের চাঁদাবাজির উপরী আয় বহাল রাখতে ওই এসআই ঘাগটিয়ার আর্দশ গ্রাম ও বড়ইবাগ এলাকার স্থান পরিবর্তন করে গত দু’মাসের অধিক সময় ধরে জাদুকাঁটা ও মাহারম নদীর মোহনায় নিয়ে বসায় সেইভ, শ্যােেল ও ড্রেজারে বালু লুটেরাদের।’ নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন ও পানির প্রবাহ বিঘিœত করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির টহল দল ও ব্যাক্তিগত দু’সোর্সকে তদারকির কাজে লাগিয়ে ওই এসআই নদী থেকে বালু পাথর লুটের সুবাধে ফের প্রতিঘনফুট বালুর জন্য ২ টাকা, প্রতিঘনফুট পাথরের জন্য ১ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় করে নদীতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটানোর তান্ডবলীলা অব্যাহত রাখে।’ সেইভ শ্যালে ড্রেজারে বালু পাথর লুটে ও এসআই তপনের বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসী ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করলে এ সংবাদ স্থানীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সহ একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে ওই এসআইর পরিবেশ বিপর্য়য় ঘটিয়ে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রকাশ হয়।’ এরপর জেলা প্রশাসন , পুলিশ সুপার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির নজরে বিষয়টি আসার পর গত ৩-৪দিন বালু লুটের আয়োজন বন্ধ থাকলে ওই চতুর এসআই তার কর্মযজ্ঞ চালাতে গিয়ে রাতের বেলায় ঘাগটিয়া পাঁকা সড়কে ও বড়ইবাগে রাতের বেলায় বালু লুটের ব্যবস্থা করে চাঁদাবাজির আয় অব্যাহত রাখেন।’
পরবর্তীতে ওই এসআই তার অপকর্ম ধামাচাঁপা দিতে ও বালু পাথর লুটের ফের আয়োজন করতে তার দু’সোর্স উপজেলার ঘাগটিয়া শিয়াল পাড়ার মৃত বারিয়া সোনার ছেলে বরকত ঘাগটিয়ার মৃত সামসুদ্দার ছেলে মনরকে দিয়ে সেইভ শ্যালে ড্রেজারে বালি লুটের , সর্দার ও ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন সমঝোতা করে তার পক্ষ্যে সাফাই গেয়ে ও বালি উক্তোলনের সুযোগ দাবি করিয়ে আজ ২৬ অক্টোবর ঘাগটিয়ার বড়টেক এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করিয়ে দেয়।’ এ মানববন্ধন ও সমাবেশে শ্রমিক, সর্দার সহ কয়েক শত লোকসমাগম করতে এসআই নিজের উপরী আয় থেকে অর্থের যোগানোর পাশাপাশী বালি পাথর লুটেরাদের নিকট থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা হারে লক্ষাধিক টাকার ফান্ড গঠন করা হয়। সেই মানববন্ধন আর সমাবেশ থেকে ঘোষণাও দেয়া হয় ২৮ অক্টোবর শনিবার থেকে ফের জাদুকাঁটা-মাহারাম নদীর মোহনা থেকে সেইভ শ্যালে ড্রেজারে বালি- পাথর উক্তোলনের।’
এসআই তপনের যত অপকর্ম: তাহিরপুর থানার সীমান্তনদী ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে এএসআই হিসাবে তপন ইতিপুর্বে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় ঘুষ, দুর্নীতি চাাঁদাবাজি ,কয়লা-চুনাপাথর চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার বদৌলতে তার হাতে আসতে থাকে প্রতিদিন কাড়ি কাড়ি টাকার বান্ডিল। ওই ফঁড়িতে বসে থানার নামে চাঁনপুর, ট্যাকেরঘাট, বালিয়াঘাট, চারাগাঁও ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে ওপার থেকে আসা চোরাই কয়লা, চুনাপাথর, মদ, গাঁজা , ইয়াবা ও মামদসেবীরাই হয়ে উঠে তার নিত্যদিনের লাখ টাকা আয়ের উৎস। ’এরপর দৃষ্টি পড়ে তপনের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এলাকার প্রতি। মাস চারেক পুর্বে উপর মহলে ম্যানেজ করে তাহিরপুর থানা থেকে পোষ্টিং নিয়ে আসে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে।’ এ ফাঁড়িতে এসে নিজেকে কর্তব্যপরায়ন অফিসার হিসাবে জাহির করতে এলাকার কয়েকজন মামদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার কওে আর কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে মদ , গাঁজাা ইয়াবা ব্যবসার জন্য গোপনে মাসোহারা নিয়ে পারমিট দিয়ে দেয়। এভাবে বাদাঘাট ও উওর বড়দল ইউনিয়নের ভারতীয় পান, সুপারী,কমলা, জিরনা মসলা, জুতা , মদ,গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসায়ী, জুয়ারী, গরু, ঘোড়া চোরাচালানীদের নিকট থেকে উপরী আয়ের পাশাাশী নদীতে বালি বোঝাই ৭ থেকে ৮টি ট্রলার, বলগেট, পঞ্চবটি নৌকা আটকের মাধ্যমে ও প্রতিটি থেকে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকাও উৎকোচ আদায় করেন ওই এসআই।’ শুধু এখানেই শেষ নয় উপজেলার এক পর্যায়ে শান্তিপুর,করবুলাতেও বালু বিক্রির করেন তিনি কিছুদিন।’
শুধু এখানেই শেষ নয় নিয়মিত যোগোযোগ রাখেন তিনি উপজেলার চাঁনপুর, ট্যাকেরঘাট, বালিয়াঘাট, চারাগাঁও, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে থাকা তার চাঁদা আদায়কারী সোর্সদের সাথেও। বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে বসেই নিয়ন্ত্রন করে সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট প্রতিনিয়ত আসা দিয়ে আসা চোরাই কয়লা, চুনাপাাথর, মরাপাথর,  মদ, গাঁজা, ইয়াবা সহ চোরাচালানীদের দেয়া লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায়ের কর্মযজ্ঞে। এতসব অপকর্মেও পরও  তপন নিজেও এলাকায় বলে বেড়ান যে টাকা তিনি আয় করেন তা একা ভোগ না করে উপর-নীচ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ, প্রভাশালী মহল ও গুটি কয়েক সাংবাদিক, সোর্স , কয়েকজন ব্যাক্তিগত মোটারসাইকেল চালক সহ চার পাশেই ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে আসছেন। তিনি ্এও বলে বড়োন তার কথার অবাধ্য হলে যেমন তিনি তার সমমর্যাদার অফিসার জুনিয়র , সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বদলী করার ক্ষমতা রাখেন তেমনি যে কোন মামলায় যে কাউকে কারাগাওে পাঠানোর ক্ষমতাও তিনি অর্জন করেছেন।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn