লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি আজ আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে বলেন, তিনি প্রাণ হারানোর ভয়ের মধ্যে আছেন। মিস্টার হারিরি লেবাননের শিয়া দল হেযবোল্লাহ এবং ইরানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ২০০৫ সালে তার পিতা রফিক হারিরিকে হত্যার সময় লেবাননের যে পরিস্থিতি ছিল, লেবাননে এখন সেরকম অবস্থা বিরাজ করছে। মি. হারিরি বলেন, আমি টের পেয়েছি যে আমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা হচ্ছে। বিবিসির বিশ্লেষক সেবাস্টিয়ান আশার বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে অস্থির এক সময়ে যেভাবে সাদ হারিরি তার পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন, তা সবাইকে বেশ বড় রকমের ধাক্কা দিয়েছে। লেবাননের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে এই পদত্যাগ আরও ঘোলাটে করে তুললো। সৌদি রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি যখন তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন, তখন তীব্র ভাষায় ইরান এবং হেযবোল্লাহর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইরান নাক গলিয়েছে এমন কোন জায়গা পৃথিবীতে নেই, যেখানে তারা ভীতি ছড়ায়নি, এবং ধ্বংস ডেকে আনেনি।
তিনি লেবাননের বর্তমান অবস্থাকে তার পিতার হত্যার সময়ের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন। সাদ হারিরি’র বাবা রফিক হারিরিও ছিলেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০০৫ সালে তাকে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ঐ ঘটনার পেছনে সিরিয়া এবং ইরানের হাত আছে বলে সন্দেহ করা হয়। সাদ হারিরি মাত্র গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি সৌদি আরব সফর করছিলেন। তার ওপর সৌদি আরবের যথেষ্ট প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। আর সেই সৌদি রাজধানী থেকেই সাদ হারিরি তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন।