দোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ ইউপি সদস্যের অভিযোগ
সুনামগঞ্জ : দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচারণের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ। বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে অভিযোগপত্র দায়ের করেন তারা। জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদনকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, জয়নাল আবেদিন, ফজলুর রহমান, আলাউদ্দিন, মো. আব্দুল হেকিম, মো. আলী হোসেন, আব্দুল হান্নান মিয়া, জোসনা বেগম, মোছা. মমতাজ বেগম মোছা. জোসনা। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিন নির্বাচিত হবার পর থেকেই স্থানীয় সরকার নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প নামমাত্র জমা দিয়ে বরাদ্দ আতœসাত করছেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩’র ২১ লক্ষ ১ হাজার টাকা বরাদ্দ আসলেও ইউনিয়ন পরিষদে ও ওয়ার্ডে কোন সভা না করেই ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়া মনগড়া প্রকল্প জমা দিয়েছেন। এই প্রকল্পে টাকা আতœসাতের জন্য একই প্রকল্প দুইবারও দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে টিআরি কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এসব বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য আলাদা কমিটি থাকলেও কোন কমিটির সভাই করেননি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিন। ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স, ট্রেডলাইসেন্স থেকে টাকা নিয়েও স্টক রেজিস্টারে না তুলে এই টাকা আতœসাত করছেন। এতে ট্যাক্সদাতা ও ইউনিয়ন পরিষদ বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়মবহির্ভূত কাজের প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিন তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যতম অভিযোগকারী ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, চেয়ারম্যান দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি সীমা ছাড়িয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করায় হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছি। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।