সারাজীবন গানের সাথেই থাকতে চান সুনামগঞ্জের ঐশী
গান গেয়ে ৩৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতার সেরার মুকুট যৌথভাবে জিতেছেন রাকিবা ইসলাম ঐশী। তার সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকার সুমনা। রোববার (২০ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘ফিজ আপ-চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭’ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে যুগ্মভাবে জয়ী হয়েছেন সুনামগঞ্জের এই দুই শিল্পী। ঐশী গান শিখছেন একদম ছোটবেলা থেকে। গানের প্রথম হাতেখড়ি হয়েছিল নিজের ছোট খালার কাছ থেকে। পরবর্তীতে গান শিখেছেন সুনামগঞ্জের ওস্তাদদের কাছে। সেই আগ্রহ থেকেই ছোটবেলা একবার চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজেও অংশ নিয়েছিলেন ঐশী। তবে ওই প্রতিযোগিতায় সেরা ১৬ জনের মধ্যে আসার পরও বাদ পড়ে যাওয়ায় সেবার খুব মন খারাপ হয়েছিল ঐশীর। তবে এবার নিরাশ হননি ঐশী। সেরাকণ্ঠে এসে তাঁর প্রাপ্তি অনেক। বিচারকদের আদর আর প্রশংসা পেয়েছেন প্রায় প্রতিবার গান গাওয়ার পরই। ‘তুমি নির্মল কর’ গানটির পর কেঁদে দিয়েছিলেন অন্যতম বিচারক সামিনা চৌধুরী। মঞ্চে এসে ঐশীকে আদর করেছিলেন মিতালী মুখার্জিও। এসব স্মৃতিকে আশীর্বাদ মনে করে পথ চলতে চান ঐশী। ছোট থেকেই বড় শিল্পী হবার স্বপ্নে বিভোর ঐশী গানের সাথে থাকতে চান সারাজীবন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটের কুনাট ছড়া সরকারি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও নারী নেত্রী আতিফা ইসলাম সাথীর মেয়ে ঐশী। ঐশী বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। ঐশীর স্বামী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাথে যুক্ত আছেন। সূত্র: চ্যানেল আই