ফাইনালের আগে ফাইনাল নিয়ে ভাবতে নারাজ টাইগাররা
ত্রিদেশীয় সিরিজে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতেই বোনাস পয়েন্টসহ জিতে নিশ্চিত হয়ে গেছে ফাইনাল। আর ৩টি করে ম্যাচ খেলেও ফাইনালের টিকিট পায়নি শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে কোন দলই। বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচ শেষেই নিশ্চিত হবে টাইগারদের প্রতিপক্ষ। আর প্রতিপক্ষ বাছাই করারও আয়েসী অবস্থায়ও আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না তারা। দুই ম্যাচেই জিততে চান বলেই জানালেন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আর দুটি ম্যাচ জেতার পরই ভাববেন ফাইনাল নিয়ে।শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে দুই দলের বিপক্ষেই বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে মূল পয়েন্টের সঙ্গে ১টি করে বোনাস পয়েন্টও পেয়েছে দলটি। আর তাতেই ফাইনালের টিকিট পায় টাইগাররা। আলোচনা এখন কারা হচ্ছেন ফাইনালে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ? আর কাদের পেলে খুশি হবেন টাইগাররা? তবে এ নিয়ে না ভেবে ভালো খেলার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন তামিম, ‘আমরা ফাইনালে ওঠে গেছি তারপরও প্রত্যেকটা সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুইটা ম্যাচে আমাদের অর্জনের অনেক কিছুই আছে। ফাইনাল আসবে…ফাইনালের কথা, দুইটা ম্যাচ শেষ করি তারপর।’
ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ নিয়েও ভাবতে চান না তামিম। কিন্তু অবচেতন মনে কি একটুও ভাবেন না প্রতিপক্ষ নিয়ে? কারণ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটা মৌন দ্বৈরথই চলছে টাইগারদের। আর জিম্বাবুয়ে যে পুরনো শত্রু। তাদের জন্যই যে বিশ্বকাপ খেলেছে অনেক বছর পর। তবে এ নিয়ে ভাবতেই চান না তামিম, ‘আমি ওরকম করে বলব না যে শ্রীলঙ্কা বা জিম্বাবুয়েকে চাই। কাল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা খেলা। আমাদের আরও ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। ওই জিনিসগুলো নিশ্চিত করতে হবে। ফাইনালে যার সাথে দেখা হবে ওরকম করেই খেলবো। যেই আসবে তাদের সাথে খেলতে হবে, ভালো খেলতে হবে।’
দলীয় লক্ষ্য আগেই পূরণ হয়েছে তাই বলে আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই টাইগারদের। মিশন শেষ হয়নি এখনও। শিরোপাই যে চাই তাদের। পরের দুই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি নিজেদের ব্যক্তিগত রেকর্ডকেও সমৃদ্ধ করার দিকেই নজর ক্রিকেটারদের। তামিমের ভাষায়, ‘এই সিরিজে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখছি না যে গা ছাড়া ভাব কারও মধ্যে কাজ করে। দুইটা জিতে গেছি, হারলেও কিছু হবে না, এই জিনিসটা দেখছি না। প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে একটা সুযোগ থাকে সেঞ্চুরি করার কিংবা পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার। যখন আমি এই গ্রুপকে দেখি আমার কাছে ওই জিনিসটা অনুভব হয় যে সবাই এটাই করতে চায়।’ মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ। আর সোমবার তামিম জানালেন নিজের লক্ষ্যের কথাও, ‘আমরা তো চেষ্টা করবো যতটা ম্যাচ খেলব প্রতিটা ম্যাচেই এরকম (আগের দুই ম্যাচের মতো) করে খেলার। অনেক সময় সম্ভব হয় না। কখনও হবে, কখনও না। আমার যেটা সবসময় টার্গেট, ৩০-৪০ বল খেলে সেট হওয়ার পর যতটা বড় করা যায়। যে কোনো পজিশনেই আপনি নামেন না কেন প্রথম ২০টা বল সবসময়ই কঠিন। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি ২০-৩০ বল ভালোভাবে মোকাবেলা করে যখন সেট হয়ে যাই চেষ্টা করি ইনিংস যতটা বড় করা যায়।’
উল্লেখ্য, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য নিছক নিয়ম রক্ষার হলেও জিম্বাবুয়ের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে জিম্বাবুইয়ানদের হালকাভাবে নিতে রাজি নন তামিম। নিজেদের সেরাটা দিয়েই জয় তুলে নিতে চান টাইগাররা।