১৫ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক নারীর পুঁতে রাখা লাশ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ঘাতককে। শুক্রবার সকালে কাঁচপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযুক্ত ঘাতকের বাড়ির পাশে গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব-১১। নিহত ওই নারীর নাম মিনু আক্তার (৩০)। তার বাবার নাম এমএ হাশেম। বাড়ি কাঁচপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। তিন সন্তানের এ জননী স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। আর আটক ব্যক্তির নাম জুনায়েদ (৪৫)। তার বাড়িও একই গ্রামে। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, জুনায়েদের সঙ্গে স্বামী পরিত্যক্তা মিনুর বিয়ে হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন বিয়ে নয়, তাদের মধ্যে পরকীয়া চলছিল। তাদের সম্পর্ক জুনায়েদের স্ত্রী রোকেয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে কলহের কারণে মিনুকে হত্যা করা হয়। পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁও থানার এসআই ফয়সাল আলম জানান, ২০ মে রাতে ‍জুনায়েদের বাড়িতে যান মিনু আক্তার। এ নিয়ে জুনায়েদের স্ত্রী, মিনু আর জুনায়েদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে জুনায়েদ মিনুকে হত্যা করে বাড়ির পাশে গর্তে মিনুর লাশ পুঁতে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মিনুকে না পেয়ে ২৩ মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার মা মনোয়ারা বেগম। এর পরই নিখোঁজ মিনুর সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ। কিন্তু মিনুর কোনো সন্ধান না পেয়ে পরে অভিযোগটি র‌্যাব ১১-এর কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে র‌্যাব জিডির তথ্যানুযায়ী, অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থেকে জুনায়েদকে আটক করে। এতদিন সরাইলে শ্বশুরবাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন জুনায়েদ। পরে জুনায়েদের দেয়া তথ্যমতে, শুক্রবার সকালে কাঁচপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় জুনায়েদের বাড়ির পাশের গর্ত থেকে মিনুর পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn