বার্তা ডেস্ক :: বিশ্বকাপে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করছে আইসিসি এমন অভিযোগ তুলেছে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। দলটির ম্যানেজার আশান্থা ডি মেল দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নানাভাবে লংকানদের ঠকানো হচ্ছে। এসএলসির অভিযোগ, শুধু শ্রীলংকা ম্যাচে সবুজ উইকেট ব্যবহার করছে আইসিসি। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে দলটি। দুই ম্যাচেই উইকেটে প্রচুর ঘাস ছিল। ফলে ভুরি ভুরি উইকেট পড়েছে এবং রান কম উঠেছে। পরে ব্রিস্টলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে লংকানদের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে। এ দুই ম্যাচেও উইকেটে সবুজাভ ছিল। অথচ ভেন্যু দুটিতে স্পোর্টিং উইকেটে খেলেছে বাকি দলগুলো। ডি মেল বলেন, এটা বিশ্বকাপ, এতে বিশ্বের সেরা ১০ দল অংশ নিচ্ছে। আমি মনে করি, অংশগ্রহণকারী সব দলকেই সমান দৃষ্টিতে দেখা উচিত। আমরা এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছি। খেলা হয়েছে দুই মাঠে। প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের জন্য সবুজ উইকেট বানিয়েছে আইসিসি। আবার একই ভেন্যুতে অন্যান্য দল বাদামি উইকেট পাচ্ছে। সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে রান উঠছে। এসব উইকেটে বড় স্কোর গড়া সম্ভব।
১৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াইয়ে নামবে শ্রীলংকা। ওভালে হতে যাওয়া ওই ম্যাচের পিচও সবুজ রাখা হয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার এমন আচরণ অনৈতিক দাবি করছে লংকান বোর্ড। ডি মেল বলেন, ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে যাওয়া ম্যাচের জন্যও সবুজ উইকেট তৈরি করেছে আইসিসি। এসব কথাবার্তা বলতে ভালো লাগছে না। তবু বলতে হচ্ছে, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এটা অনৈতিক। এ আসরে একটা নির্দিষ্ট দলের জন্য একধরনের উইকেট বানানো হচ্ছে এবং বাকি দলের জন্য ভিন্ন। শুধু তাই নয়, অনুশীলনের ব্যবস্থা এবং হোটেলেও পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, কার্ডিফে অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিল অসন্তোষজনক। তিনটি নেট দেয়ার কথা থাকলেও তারা আমাদের দিয়েছে দুটি। ব্রিস্টলে আমাদের যে হোটেলে রাখা হয়েছিল, সেখানে সুইমিং পুল ছিল না। অনুশীলন কিংবা ম্যাচের পর পেসারদের পেশি শিথিল রাখার অন্য সাঁতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ঠিকই সেই সুযোগ পেয়েছে। তাদের যে হোটেলে রাখা হয়েছিল, সেখানে সুইমিং পুল ছিল। আইসিসির তরফে জবাব না পাওয়া পর্যন্ত চিঠি দেয়া বন্ধ করবে না শ্রীলংকা। এমন কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির ম্যানেজার। তিনি বলেন, আমরা চার দিন আগে আইসিসিকে অপ্রাপ্যতার তালিকা পাঠিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। যতক্ষণ না উত্তর পাব, ততক্ষণ আমরা সংস্থার কাছে দাবি-দাওয়া তুলতেই থাকব।-সৌজন্যে : যুগান্তর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn