বার্তা ডেস্ক :: নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে করা মামলায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এ আদালতের বিচারক বিশেষ মহানগর হাকিম মেহেদী পাভেল সুইট রোববার দুপুরে এ পরোয়ানা জারি করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে প্রাণের ঘি, লাচ্ছা সেমাই, হলুদগুড়াসহ নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই ধার্য করা হয়। এদিকে মামলার আজকের শুনানির সময় এমডি আহসান খান উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ, তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আদালত এ বক্তব্য আমলে নেননি।
প্রসঙ্গত উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও বাজার থেকে সরিয়ে না নেয়ায় গত ২২ মে প্রাণসহ মানহীন ৫২টি পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাণসহ ৫২টি পণ্য হলো- প্রাণের হলুদ গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার। মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, মিস্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই।
এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু। কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযু্ক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘির ড্রিংকিং ওয়াটার। এরপর গত মঙ্গলবার আরও ২১টি নতুন পণ্যের বিরুদ্ধে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে করা মামলায় ২১টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- এসএ সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘মুসকান’, কনফিডেন্ট সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘কনফিডেন্স’, বিসমিল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘উট’, জনতা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘নজরুল’, জেকে ফুডের লাচ্ছা সেমাই ‘মদিনা’, হাসেম ফুডের লাচ্ছা সেমাই ‘কুলসন’, কুইন কাউ ফুডের বাটার অয়েল ‘গ্রিন মাউন্টেন’, জে কেমিক্যাল ওয়ার্কসের ঘি ‘এ-৭’, প্রাণ ডেইরির ঘি ‘প্রাণ প্রিমিয়াম’, এগ্রো অর্গানিকের ঘি ‘খুশবু’, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া ‘রাধুনী’, থ্রি স্টার ফ্লাওয়ার মিলের ধনিয়া ও হলুদের গুঁড়া ‘থ্রি স্টার’, ফস্টার ক্লার্কের সফট ড্রিংক পাউডার ‘ফস্টার ক্লার্ক’, এসএ সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ ‘প্রাণ’, সামগ্রী কনজুমারসের কারি পাউডার ও জিরার গুঁড়া ‘সামগ্রী’, ফেমাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ঘি ‘ফেমাস’, এসবি এন্টারপ্রাইজের ঘি ‘এসবি’, খাজা তৈয়ারিয়ার ফ্লাওয়ার মিলের ধনিয়ার গুঁড়া ‘ফাস্টার ক্লার্ক। সৌজন্যে : যুগান্তর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn