পীর হাবীবুর রহমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেঃঃ ভারত আমার একটি প্রিয় দেশ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশটির সমর্থন,সহযোগীতায় রয়েছে ঋনবোধ।অকৃত্রিম বন্ধু দেশটির সংস্কৃতি আর সবচেয়ে বড় আকর্ষন উদার গনতান্ত্রীক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্র। কিন্ত দিনদিন ধর্মান্ধ উগ্রপন্হীদের উন্মত্ত আচরন, জয়শ্রীরাম নয়তো গোমাংস ইস্যুতে মুসলমানদের ওপর নৃশংসতা, কিংবা মুসলমান নারীদের ধর্ষনের আহবান জানানো বক্তৃতা, উদ্বিগ্ন বিমর্ষ ব্যথিত করে। মনে হয় এই ধর্মান্ধ উগ্রপন্হীরা ভারত রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ উদার গনতান্ত্রীক চরিত্রের উপর আঘাত হানছে। ধর্মের নামে উগ্রতা বিষের বাতাস, জিঘাংসা,হিংসা কার্যত রাষ্ট্রের সর্বনাশ করে। পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি ধর্মের বাড়াবাড়িতে শেষ হয়ে গেছে। জঙ্গিবাদ ধর্মান্ধতার কবলে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা পরেছে। তার দিকে ঘৃনা ছাড়া কেউ ফিরেও তাকায়না! আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমনে তাদের ধর্মান্ধ সমর্থকদের নিয়ে কে মুসলমান,কে হিন্দু দেখেনি! নির্বিচারে বাঙ্গালিদের গনহত্যা গনধর্ষন করেছে। আমরা ওদের পরাজিত করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করেছিলাম। ওখানে ভারতের বাপুজি মহাত্না গান্ধীকে ধর্মান্ধ উগ্রপন্হীরা হত্যা করলেও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে আঘাত হানতে পারেনি।

আমাদের জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে পাকিস্তানি প্রেতাত্নাদের নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকেই মুছে দেয়া হয়নি, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্টপোষকতা দেয়া হয়েছে। বিষ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখানেও নানা সময় উগ্রপন্হী ধর্মান্ধরা রাজনীতির কুৎসিত চেহারায় হিন্দু বৌদ্ধদের ওপর আক্রমন চালিয়েছে। মন্দিরে হামলা করেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের উপর আঘাত করেছে। সব ধর্ম জাতি বর্ন নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত না করতে পারলে, রাষ্টের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যেখানে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রীক শোষনমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্টার লড়াই করছি, সেখানে বৃহত্তম গনতান্ত্রীক ভারত যদি ধর্মনিরপেক্ষতার মহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে উগ্রপন্হীদের কঠোর হাতে দমন বা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব উপমহাদেশে পরবেইনা,সবাইকে অশান্ত করবে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অমলিন রেখেই, সূদৃঢ় রেখেই ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে দুই রাষ্টকেই কঠোর অবস্হান নিতে হবে। ধর্মের নামে কোন জোর জুলুম কোথাও চলতে পারেনা।  জঙ্গিবাদের ঠাই ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রীক আদর্শের সাথে সহাবস্হান করতে পারেনা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn