বার্তা ডেস্ক:: ভারতে সরকারি অফিসে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইলে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না-এমনই এক নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশজুড়ে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি অফিসের গোপন তথ্যের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অফিসের কম্পিউটারের পাশাপাশি নিজেদের মোবাইলে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে সরকারি তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চান, তা হলে তাকে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অফিসের দেওয়া ই-মেইল আইডির বাইরে অন্য কোনো ই-মেইল সরকারি কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মকর্তারা অফিসের বাইরে নিজেদের ইউএসবি যন্ত্র (পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক প্রভৃতি) নিয়ে যেতে পারবেন না। এমনকি তারা কোনোভাবেই কোনো সরকারি তথ্য বা নথি গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স ও আই ক্লাউড-এ ‘সুরক্ষিত’ রাখতে পারবেন না।

এই নির্দেশনায় যে বিভাগগুলোকে নিয়ে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটারের ব্যবহার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট, স্টোরেজ মিডিয়া যন্ত্র ব্যবহার, ই-মেইলের ব্যবহার, ওয়াই ফাই ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক। এমনকি একজন সরকারি কর্মকর্তাকে কীভাবে অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করে গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে, তার পাসওয়ার্ড কীভাবে শক্তিশালী করতে হবে তা-ও শেখানো হয়েছে ওই নির্দেশনায়।বলা হয়েছে, সমস্ত শ্রেণিবদ্ধ কাজ এমন কম্পিউটারে করা ভালো, যা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। ন্যূনতম ১০টি অক্ষর দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন, যেখানে নম্বরের সঙ্গে থাকবে অক্ষর ও বিশেষ চিহ্ন। কম্পিউটারে যে অ্যান্টি ভাইরাস থাকবে, তার মেয়াদ যেন সঠিক থাকে। এই অ্যান্টি ভাইরাস যেন সবসময়ে অটো আপডেট অপশনে থাকে। এ ছাড়া কম্পিউটার স্ক্রিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুলে রেখে উঠে যাওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশনায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn