বার্তা ডেস্ক:: রোববার রাতে ক্রিকেটবিশ্ব দেখল অনন্য এক ম্যাচ। শেষ মুহূর্তেও হার মানছে না কোনো দলই। ক্রিকেটে টাই হয়ে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর দেখা মেলে না। তাই সুপার ওভার মানেই চরম রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর সে ঘটনা যদি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে হয়ে থাকে তা ইতিহাসকেও হার মানায়। আর সেই ইতিহাসকে হার মানানো ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর বিবেচনায় মুখে হাসি ফোটে ইয়ন মরগ্যানদের। বঞ্চিত হন কেন উইলিয়ামসনরা। আইসিসির এমন নিয়ম মানতে পারছেন না অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। ম্যাচশেষের পর থেকেই এ নিয়মের সমালোচনায় মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। সে সমালোচনা থেকে বিরত যাননি ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একহাত নিলেন আইসিসিকে। আইসিসির এমন নিয়মের কড়া সমালোচনা করে তসলিমা লেখেন, আই সি সির এ একটা ফালতু নিয়ম। খেলায় টাই হলে ৬ বলের খেলা হয়। তাতেও টাই হলে, যারা বেশি চার মেরেছে, তারা জিতবে। এমন শিশুতোষ সমাধান পাড়ার মাঠের শিশুরাও দেয় না। তিনি আরও লেখেন, ৬ বলের খেলাতেও টাই হলে আবার ৬ বলের খেলা খেলতে বলো। সত্যি কথা বলতে গতকাল ওয়ার্ল্ডকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দুদলই জিতেছে। এমন চমৎকার ফাইনাল আমি এই প্রথম দেখলাম। এ অনেকটা অরোরা বরেলিস দেখার মতো, ওয়ান্স ইন এ লাইফটাইম অভিজ্ঞতা।

উল্লেখ্য, সুপার ওভার টাই হলে আইসিসির চূড়ান্ত নীতিমালায় যা লেখা রয়েছে-

১. মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

২. যদি এ ক্ষেত্রেও দুদলের পারফরম্যান্স সমান হয় তখন যে দল শেষ বলে সবচেয়ে বেশি রান নিয়েছে তারা জয়ী হবে।

৩. যদি ওপরে উল্লিখিত দুটি বিষয়েও দুদলের পারফরমেন্স একই ধরণের হয় তখন মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে কম নো বল দিয়েছে তারা বিজয়ী হবে।

আর ১নং নিয়মকে অনুসরণ করে রোববার রাতে শেষ হাসি হাসে ইংল্যান্ডের। সুপার ওভারে দুদলই ১৫ করে রান করলে বিবেচনায় চলে আসে ম্যাচে কোন দল কয়টি বাউন্ডারি হাঁকাল। সেই হিসেবে নিউজিল্যান্ড চার হাঁকায় ১৪টি আর ছক্কা ২টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ড চার হাঁকায় ২২টি আর ছক্কা হাঁকায় ২টি। নিউজিল্যান্ডের তুলনায় ৮টি চার বেশি হাঁকানোয় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn