‘জানাজা শেষে চেয়েছিলাম তাকে (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) ঢাকায় নিয়ে যেতে। কিন্তু রংপুরবাসীর আবেগের কাছে আমরা হার মেনেছি। রওশন এরশাদও এ সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন।’ মঙ্গলবার বিকালে রংপুরের পল্লী নিবাসে এরশাদের দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার ও আকুতির কাছে আমরা পরাজিত হয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম জাতীয় এ নেতার সমাধি ঢাকাতে হবে, যাতে সারা দেশেরসহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গ তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে। আমরা তার কবরের পাশে মিউজিয়ামসহ যাবতীয় স্থাপনা করব। রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে ইতিমধ্যেই সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ দাফনের জন্য পল্লী নিবাসে আনা হয়েছে। এরশাদের কফিনবাহী গাড়িতে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদ রংপুর-৩ (সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি এ আসন থেকে টানা ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রংপুরকে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বিবেচনা করা হয়। এরশাদ জেলে থেকেও এখান থেকে ভোট করে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।

 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn