তাহিরপুর :: তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতার ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসকের বালু মহাল ঘোষণা এবং ওই ইজারা বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় সচিব, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি)’সহ সংশ্লিষ্ট আট জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী ফয়েজ আহমেদ। এর আগে, ২২ মে সুনামগঞ্জের ডিসি জাদুকাটা নদীকে বালু মহাল ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরে ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে গত ৯ জুলাই ডিসি জাদুকাটা নদীর বালু মহাল ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেন। এরপর বালু মহাল ঘোষণা এবং তা ইজারার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লিগ্যাল সাপোর্ট এবং পিপলস রাইট ফাউন্ডেশনের (এলএসপিআরএফ) চেয়ারম্যান আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ৭ মার্চ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় সারাদেশের যেখানে বালু ও পাথর সমৃদ্ধ তা খনিজ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৯৯২ সালের খনি ও খনিজ সম্পদ আইনে এটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। জাদুকাটা নদীতে বালুর সঙ্গে নুড়ি পাথর রয়েছে, তাই এটি খনিজ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ কারণে ওই স্থান বালু মহালের মধ্যে পড়ে না। এরপরেও সুনামগঞ্জের ডিসি জাদুকাটা নদীকে বালু মহাল ঘোষণা দিয়েছেন, যা আইন পরিপন্থী বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn