সিলেটের বিশ্বনাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক নারীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলম মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আলম মিয়ার ধর্ষিতা নারীর মায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতে বিশ্বনাথের জানাইয়া এলাকা থেকে আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রাম থেকে বিশ্বনাথে মায়ের বাসায় বেড়াতে আসেন এক সন্তানের জননী ওই নারী। পরদিন ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই তাকে ধর্ষণ করে আলম। পরে ধর্ষিতা নারীকে তাঁর মা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করেন।  গত ৭ আগষ্ট বুধবার ওসিসি থেকে বিশ্বনাথ থানায় আলম মিয়াকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। (মামলা নং ৮)। গ্রেপ্তার হওয়া আলম সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষিতার মার সাথে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আলমের সাথে মায়ের পরকিয়া ছিলো। বৃহস্পতিবার সেই সুযোগে বাসায় এসে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে আলম।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn