পুলিশ সদস্য আবদুর রহিম। সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের কর্মরত। ৩৫ বছরের চাকরি জীবন অর্জনের পুরোটা ব্যয় করেছেন ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায়। অবশ্য তার এই পরিশ্রম বিফলে যায়নি। রহিমের বড় মেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন। পরে ৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার মেয়ের এই সফলতার গল্প জেনে এসএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদকে অবগত করেন অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার। পুলিশ সদস্যের মেয়ের এই অর্জনের খবর শোনে আনন্দিত হন ফয়সল মাহমুদ। মেয়ের কৃতিত্বে নিজ সহকর্মী ও গর্বিত পিতা আবদুর রহিমকে সংবর্ধনা দেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসএমপির ট্রাফিক অফিসে আবদুর রহিমকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। রহিমের পাশাপাশি মেয়ে ও তার মাকেও ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন ফয়সল মাহমুদ। ফয়সল মাহমুদ বলেন, সততা ও নিষ্ঠার পরিশ্রম কখনও বিফলে যায় না। তেমনি আমাদের আবদুর রহিম ও তার পরিবার আজ সফল। রহিমের মেয়ের এই অর্জন পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষৎ কামনা করি। সে যেন নিজেকে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে পারে তার জন্য সেই প্রার্থনা করি। নিজ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগে আবেগ-আপ্লুত আবদুল রহিম বলেন, মেয়ের এই অর্জন আমার জীবনের কষ্টকে সুখে পরিণত করেছে। সারা জীবন মানুষের সেবা করেছি, আমার মেয়েও যেন মানুষের সেবা করতে পারে সেই দোয়া চাই। স্যারদের এই সম্মান প্রদর্শনে আমি চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি অন্য চাকরিজীবী বাবা-মায়েরাও উৎসাহিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাবার সহকর্মীদের এমন আন্তরিকতায় অভিভূত ডা. ফারজানা আক্তার শারমিন।

তিনি বলেন, এই অর্জনের সব কৃতিত্ব আমার বাবা-মার। সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই। আমি যেন মানুষের সেবা করতে পারে সেই দোয়া চাই। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) নিকুলিন চাকমা, জ্যোর্তিময় সরকার, টিআই হাবিবুর রহমান, আবু হানিফ, সার্জেন্ট আবু বক্কর শাওন, যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহইয়া মারুফ প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn