ঢাকা: নৈতিক স্খলন ও অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে দায়ী করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তিনি ‘অযৌক্তিক’ দাবিতে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অধ্যাপক ফারজানা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “বিচার বিভাগীয় তদন্তের যে দায়-দায়িত্ব আমাকে ওরা দিয়েছে, সেটি অযৌক্তিক। আমি এটা চাইতেও পারিনা, করতেও পারিনা। এটি সরকারের থেকে উদ্যোগ নিবে অথবা বিচার বিভাগ চিন্তা করবে। শুধু এখানে আমাকে একটা চাপ সৃষ্টি করার অর্থই হচ্ছে একটা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য আহ্বান করা। যেহেতু যুক্তি নেই, সেখানে পদত্যাগের ইচ্ছা আমি প্রকাশ করছি না।” এর আগে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে অধ্যাপক ফারজানার পদত্যাগের দাবিতে তার উদ্দেশে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ দিনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মঙ্গলবারের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বুধ ও বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর- এর অন্যতম সংগঠক আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এ উপাচার্য একজন দুর্নীতিবাজ, যৌন নিপীড়কের আশ্রয়দাতা ও মিথ্যাবাদী। ছাত্রলীগের সাথে তিনি প্রকল্পের টাকা সরাসরি লেনদেনে জড়িত। তিনি প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্য করে এবং অযোগ্য প্রক্টরকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে উপাচার্যের পদকে কলঙ্কিত করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য তার অপসারণে আমরা বদ্ধপরিকর।” অন্যদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগকারী’ ও ‘চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের’ শাস্তির দাবিতে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ বুধবার শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn