বার্তা ডেস্ক:: গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেয় দেশটির সরকার। ভারতের বিকল্প হিসেবে মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে মিসর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের কয়েকটি চালান বাজারেও চলে এসেছে। মিসরের পেঁয়াজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠলেও, মিয়ানমারেরগুলো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। মিয়ানমারের এসব পেঁয়াজের কিছু কিছু নষ্ট ও পচা হওয়ায় তা ১২ টাকা কেজিতেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। গত ১ অক্টোবর থেকে দেশের বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসা শুরু হয়। কিন্তু আড়তে মাল খালাসেই দেখা যায় বিপুলসংখ্যক পেঁয়াজ পচা, ছাল ওঠা ও গাছ বের হওয়া। ফলে অনেক পেঁয়াজই ফেলে দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। একই সঙ্গে লাভের আশা বাদ দিয়ে আধাপচা ও ছাল ওঠা পেঁয়াজ আলাদা আলাদা করে ১২, ১৫, ১৮, ২৫, ৩০ টাকায় বিক্রির চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবুও মিলছে না এসব পেঁয়াজের ক্রেতা। ব্যবসায়ীদের দাবি, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আনতে কেজিতে খরচ পড়ছে প্রায় ৫৬ টাকা। কিন্তু সে পেঁয়াজের বিপুল অংশ নষ্ট থাকায় তা ১২ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। শ্যামবাজারে গিয়ে দেখা যায়, কিছু দোকানে মিয়ানমারের আধাপচা পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দামে কম হলেও চালানো যাবে না বিধায় এসব পেঁয়াজ দেখে দাম না করেই মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে বর্তমানে মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ৫০ থেকে ৫২ ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ায় বাংলাদেশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn