ম্যাচের শুরুর ২২ মিনিটেই পরিষ্কার ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। নিজেদের মাঠে মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল আদায় করে জার্মানি। ১৫তম মিনিটে সার্জ জিনাব্রি ও ২২ মিনিটে গোল করেন হাভার্টস। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টাইনরা। জোড়া গোল শোধ দিয়ে ২-২ সমতায় খেলা শেষ করে সফরকারী আর্জেন্টিনা। ৬৬ মিনিটে গোল পান আর্জেন্টাইন তারকা আলারিও। আর খেলা শেষের পাঁচ মিনিট আগে আর্জেন্টিনা সমতাসূচক গোল এনে দেন অভিষিক্ত তারকা ওকাম্পোস। গত ১৯ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে অভিষেকে গোল পাওয়া ২৩তম ফুটবলার তিনি।নিষেধাজ্ঞার কারণে বুধবার দলে ছিলেন না আর্জেন্টিনার শীর্ষ তারকা লিওনেল  মেসি। ছিলেন না অভিজ্ঞ সার্জিও আগুয়েরো ও ডি মারিয়া । অন্যদিকে তারুণ্যে আস্থা রেখেছেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লোও। চোটের কারণে জার্মান দলে ছিল না তাঁদের নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনেকেই। ম্যাচের আগে এটা নিয়ে হতাশা ঝরে পড়েছিল জোয়াকিম লোর কণ্ঠে। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যায় জার্মানি। ডি বক্সের মধ্যে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা ঘিরে ধরেছিল জিনাব্রিকে। সেখান থেকেই তাদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের এই খেলোয়াড়। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টটেনহ্যামের বিপক্ষে এই জিনাব্রি একাই চার গোল করেছেন। ২২তম মিনিটে জার্মানির হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন হাভার্টস। এই গোলেও অবদান ছিল জিনাব্রির। সীমানা পাল্টে দুই দল যখন মাঠে। তখন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলো জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক জার্মানি ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর্জেন্টাইনদের আক্রমণ সামলাতে। ঘুরে দাঁড়ানো আর্জেন্টিনা ব্যবধান কমায় ৬৬ মিনিটে। সতীর্থ খেলোয়াড় আকুনার বাড়ানো বল হেডে জালে জড়ান আলারিও। মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এ যাত্রায় জার্মানিকে রক্ষা করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক টার স্টেগেন। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৮৫তম মিনিটে আলারিওর পাসে গোল নিয়ে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান সেভিয়ার ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লুকাস ওকাম্পোস।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn