কানাডায় একাধিক স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। টরন্টোতে নির্মিতব্য স্থায়ী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সৌধ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অপর দিকে ইউনিপেক প্রদেশের মেনিটোবা শহরের ক্রিকব্রিডজ পার্কে খুব শিগগিরই স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। ১২ অক্টোবর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও সেখানে তুষারপাত, ঝড়বৃষ্টির বৈরী আবহাওয়ার জন্য সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে বলে মেনিটোবা থেকে হেলাল মহিউদ্দিন  জানিয়েছেন। এদিকে ‘টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে মনুমেন্ট’-এর সম্প্রতি তহবিল সংগ্রহ সন্ধ্যায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যয়বহুল শহীদ মিনার নির্মাণে অর্থ দিয়ে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেন কমিউনিটির রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, বিল্ডার, মর্টগেজ ব্যবসায়ী, ব্যরিস্টার, ফ্যাশন হাউজের মালিক, রেস্টুরেন্টের মালিক, মূলধারার এবং স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংগঠনিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

‘টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে মনুমেন্ট’-এ বক্তব্য দিচ্ছেন টরন্টো সিটি মেয়র জন টরি। ছবি: ইত্তেফাকসেখানে উপস্থিত ছিলেন টরন্টোর মেয়র জন টরি, এমপিপি ডলি বেগম, এমপিপি রিমা বার্নস-ম্যাকগাউন, কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড, সাবেক কাউন্সিলর জ্যানেট ডেভিস, টরন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাইম উদ্দিন আহমেদসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। তারা সফলভাবে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, টরন্টোতে বাঙালি অধ্যূষিত এলাকা ড্যানফোর্থস্থ ডজ রোডের ট্রেলর পার্কে ইতিমধ্যে টরন্টো সিটি কর্পোরেশন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেছে। অপরদিকে এডমন্টনেও একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিরা সিটি মেয়রের কাছে দাবি উত্থাপন করেছেন বলে খবরে প্রকাশ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn