বার্তা ডেস্ক:: কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, সিলেটে তৃণমূলের পছন্দের নেতৃত্ব দেখতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভবিষ্যতে কেন্দ্র থেকে আর কোন কমিটিও ঘোষণা করা হবে না বলে সিলেট জেলা বিএনপির নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। একই সাথে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত সকল কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করারও নির্দেশ দেন তারেক। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঢাকার পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড়ঘন্টাব্যাপী স্কাইপে সিলেটের নেতাদের সাথে কথা বলেন তারেক রহমান। এসময় তিনি এ নির্দেশ দেন। গত ২ অক্টোবর মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি বিলুপ্ত করে ঘোষণা করা হয় সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহবায়ক করে ২৫ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। দলীয় দিকনির্দেশনা দিতে ও নতুন আহবায়ক কমিটির সদস্যদের সাথে পরিচিতি উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় ডেকে নিয়ে স্কাইপে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকে আহবায়কক কমিটির ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারেক রহমান তাদের কাছ থেকে সিলেটের সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, এসময় তারেক রহমান বলেন, বিএনপির সামনে এখন দুটি টার্গেট। একটি হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অপরটি হচ্ছে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। এজন্য দলকে আরো সুসংগঠিত করার তাগিদ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া আর শশুর বাড়ি সিলেট। আমি চাই বগুড়া থেকেও সিলেটে বিএনপির অবস্থান শক্তিশালী হোক। এজন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে হবে। এখন থেকে আর ঢাকায় বসে কোন কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হবে না এমন অঙ্গিকার করে তারেক রহমান বলেন, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত সকল কমিটি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পছন্দ অনুযায়ী হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হবে কমিটি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের আগামী দিনের নেতৃত্ব বেছে নেবে। তিনি আগামী তিন মাসের মধ্যে সিলেটের সকল ইউনিয়ন ও উপজেলায় প্রত্যক্ষ ভোটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কড়া নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন শেষে একই পদ্ধতিতে জেলা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য আশিক চৌধুরী, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, কাইয়ুম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশিক চৌধুরী, আবদুল মান্নান, ফারুকুল ইসলাম ফারুক, শাহ জামাল নুরুল হুদা, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামিম আহমেদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn