সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা) এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় মিজানুর রহমান সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে তাহিরপুর থানার ওসি ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদকে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন। এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার সম্পদের খোঁজ করছে এবং তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, দুদকে যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারেন। তদন্তে প্রমাণিত হবে কে দোষী আর কে নির্দোষ। তিনি বলেন, তার প্রতিপক্ষ কেউ ষড়যন্ত্র করে এসব করছে।

তাহিরপুর উপজেলার লাকমা নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বুধবার দুদকে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি গত ১৩ অক্টোবর এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ দায়ের করার পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান তাকে ফোন করে হুমকি দেন। ওসি তাকে এবং তার পরিবারের লোকদের মামলায় জড়িয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। মিজানুর রহমান জানান, ৩ অক্টোবর প্রথম দফা এমপির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়ার পর ৫ তারিখে তাহিরপুর থানার ওসি তার বাড়িতে পুলিশ পাঠান। এরপর থেকে নানাভাবে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মিজানুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালের আগে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনের তেমন কোনো সম্পদ ছিল না। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন নদী, জলমহাল, বালু ও পাথরকোয়ারিতে চাঁদাবাজি করে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। ধরমপাশা, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকায় বাড়ি রয়েছে। এসব সম্পদ তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে করেছেন। তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি মিজানুর রহমান নামের কাউকে চিনি না। এই নামে কারও সঙ্গে ফোনেও কথা বলিনি। এসব সত্য নয়।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn