যে কারণে দুদক কার্যালয়ে সাকিব আল হাসান
বার্তা ডেস্ক :: জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য আইসিসিকে না জানানোয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই নিষেধাজ্ঞার চারদিন পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে যান সাকিব। রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তবে দুদক কার্যালয় থেকে চলে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি সাকিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য যুগান্তরকে বলেন, সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত। তিনি সকালে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন। সাক্ষাত শেষে তিনি চলে গেছেন। এদিকে হঠাৎ করে সাকিব দুদক কার্যালয়ে যাওয়ায় কয়েকটি গণমাধ্যমে খবরে বের হয়, আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পরে দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সাকিবকে রাখা হবে কিনা, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য দুদকে ডাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রণব কুমার বলেন, এগুলো ভুল তথ্য। সাকিবকে ডাকা হয়নি। তিনি দুদকের শুভেচ্ছা দূত। দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন।
প্রসঙ্গত দুই বছর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান। তবে তা গোপন রাখেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে। এর দায়ে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। যদিও প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটা ছিল দুই বছর। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছর শিথিল করা হয়। এ সময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে। আর কোনো দুর্নীতিতে না জড়ালে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২৯ অক্টোবর থেকে। সেই হিসেবে আগামী বছরের একই দিনে তার এক বছরের শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে। আইসিসির বিভিন্ন শর্ত পূরণ তখন থেকেই মাঠে ফিরতে পারবেন এই অলরাউন্ডার। আর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে ১৭ অক্টোবর। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এর মাঝে প্রথম রাউন্ডের খেলা চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৪ই অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার-১২ পর্ব বা মূল আসর। বিসিবি ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় সাকিবের শাস্তি কমানোর চেষ্টা করবে।সৌজন্যে : যুগান্তর