বার্তা ডেস্ক: আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার, ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকেও খাবার বের হতে পারে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কচুরিপানা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। সংসদে কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০ পাসের আগে জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রীর কচুরিপানা সংক্রান্ত পূর্বের বক্তব্যটি তোলেন। এ সময় অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেন, আজ থেকে ৪০-৪৫ বা ৫০ বছর পূর্বে তখন ঢাকাতে কেউ কচুরলতি খেত না। কিন্তু আজকে কচুরলতি একটা খুব সুস্বাদু এবং প্রয়োজনীয় তরকারি হিসেবে চালু হয়েছে। ‘আমরা চা খাই, চা পাতা দিয়ে। নতুন কনসেপ্ট এসেছে পাটের পাতা থেকে চা পাতার মতো এক ধরনের ড্রিংস তৈরি হচ্ছে। হয়তো একথা আগে বললে বলা হতো-এটা আবার কেমন কথা?’ তিনি বলেন, দিন তো বদলাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা, নতুন নতুন উদ্ধাবনী শক্তি আসছে। আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার, ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকেও খাবার বের হবে। যার ফুড ভ্যালু অনেক খানি ভালো। অপেক্ষা করি তার জন্য। নেক্সট ওয়েট ফর দ্যাট। এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে খবর বের হয়, হাস্যরস করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা, কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তবে ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কচুরিপানা খেতে নয়, এটি নিয়ে গবেষণা করতে কৃষি গবেষকদের আহ্বান জানান। আর একদিন পর এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn