বার্তা ডেস্ক ::মোহাম্মদ আশরাফুল, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার। ফিক্সিংয়ের মতো গর্হিত অপরাধে কলঙ্কিত হয়েছিল তার ক্যারিয়ার। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সে খেলা আশরাফুল স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। শাস্তি কাটিয়ে ক্রিকেটেও ফিরেছেন তিনি। তবে নিষেধাজ্ঞার প্রথম বছরটি কঠিন কেটেছিল আশরাফুলের। এমনকি লজ্জায়-অপরোধবোধে ভুগে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান! গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক লাইভে কঠিন ও তিক্ত সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক। নিজের ভেতরের দহনে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন আশরাফুল। তিনি বলেছেন, ‘এমনও আমার মাথার মধ্যে এসেছিল যে আমি বেঁচে থাকব কি না, সুইসাইড করব কি না। এই ধরনের চিন্তাও আমার মধ্যে এসেছে। আমি কীভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাব, পরিবার কীভাবে থাকবে। আমি এটা নিয়ে খুব আপসেট ছিলাম। প্রথম ছয়টা মাস রুটিন ছিল রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত টিভি দেখতাম। তারপর ঘুমাতাম, ঘুম থেকে ২টায় উঠতাম।’

চলমান করোনাকালে গৃহবন্দী থাকার দিনগুলো তাই খুব কঠিন লাগছে না আশরাফুলের কাছে। কারণ এর চেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার তার জীবনের ভান্ডারেই রয়েছে। কঠিন সেই সময়ে নিজের দুলাভাই ও বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছ থেকে মানসিক সাপোর্ট পেয়েছিলেন আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ২০১৩ সালে হজ করতে গেলাম। এরপর আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করলাম। উনি কিছু পজিটিভ কথা বলেছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সুজন ভাই (বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন), উনারা আমাকে প্রচুর সাপোর্ট করেছেন। বলতেন, তোমার এখন বাজে সময় যাচ্ছে। সময়ই তোমাকে সব পরিবর্তন করে দেবে।’ অপেশাদার ক্রিকেট খেলার অনুমতি পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছর ক্রিকেট খেলেছেন ৩৫ বছর বছর বয়সি আশরাফুল। নিজেকে ধরে রাখতে সিলেটে প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। এমনকি টেপ টেনিস ম্যাচও। ঐসব ম্যাচেও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। সৌজন্যে : ইত্তেফাক

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn