চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার পুরাতন চান্দগাঁও পাঠাইন্যাগোদা এলাকার রমজান আলী সেরেস্তাদার বাড়ির একটি ভাড়া বাসায় মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিহত গুলনাহার বেগমের একমাত্র মেয়ে ময়ুরীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই ফারুক তার মায়ের পাতানো ভাই। পুলিশ তাকে খুঁজছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ফারুক পলাতক রয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ নিহত মা-ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত গুলনাহারের বয়স ৩৩ ও তার ছেলে রিফাতের বয়স ৯ বলে জানিয়েছেন, চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার। তিনি জানান, নিহত মা ও ছেলের গলায় রক্তাক্ত ক্ষত আছে।

তাদের ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুনের শিকার গুলনাহারের কিশোরী কন্যা ময়ূরীর দাবি মোতাবেক ফারুককে পাওয়া গেলে হয়তো আসল তথ্য বেরিয়ে আসত। তিনি আরো জানান, ফারুক বহদ্দারহাট এলাকার খাজা রোডের বাসিন্দা। তিনি বহদ্দারহাটে একটি দোকান পরিচালনা করেন। ঘটনার পর থেকে ফারুক পলাতক রয়েছে। ফারুকের বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। ময়ূরী জানান, বহদ্দারহাটের সিরাজের ছেলে ফারুকের সাথে তাদের পারিবারিক সমপর্ক ছিল। ফারুকের সাথে গুলনাহার বেগমের পাতানো ভাই-বোনের সমপর্ক ছিল। পেশায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ফারুক অবসর সময়ে গুলনাহারের বানানো নাস্তা বিক্রি করতো। লকডাউনের সময়েই একইভাবে বিরিয়ানি বিক্রি করছিল ফারুক। ফারুক বিভিন্ন সময়ে টাকার লেনদেন নিয়ে গুলনাহারকে হত্যার হুমকি দিতো। স্থানীয়রা জানান, গুলনাহারের বাড়ি নোয়াখালীতে। সে স্বামী পরিত্যক্তা। ভাড়া বাসায় ১৪ বছর বয়সি কিশোরী মেয়ে ময়ুরী ও ছেলে রিফাতকে নিয়ে বসবাস করতেন গুলনাহার বেগম। তিনি বাসায় ও হোটেলে রান্নার কাজ করতেন। ময়ুরী গার্মেন্টে চাকরি করেন। প্রতিদিনের মতো ময়ুরী সকালে গার্মেন্টে চলে যান। বাসায় ছিলো মা ও ছেলে।  চাকরি শেষে ময়ুরী রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন দরজা খোলা। মেঝেতে মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এসময় তার চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn