আশিক আলী– সিলেট-বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর প্রধান সড়কের ধীরগতির সংস্কার কাজে দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এক সপ্তাহ কাজ করলে বন্ধ থাকে মাসখানেক। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো কাজ করলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ফলে সড়কের স্থানে স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে গর্ত আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সড়ক। ঠিকাদারের চরম গাফিলতি আর সড়ক সংস্কার কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই কাজে ধীরগতি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। সম্প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জনসাধারণ একাধিকবার মানববন্ধন কর্মসূচি আর পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। জনসাধারণের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চান্দশির কাপন নামক স্থানে গত বুধবার থেকে অপরিচ্ছন্ন আর নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এসব ইটের খোয়া সাবেক সড়কের সাব-ব্যাচের মাটির সাথে ছিল। আর ওই মাটি থেকে ঝাড় দিয়ে ইটের খোয়া বের করে কাজে লাগানো হচ্ছে। তার উপরে হবে কার্পেটিং।

জানা যায়, গত বছর বিশ্বনাথ উপজেলা সদর থেকে শুরু করে জগন্নাথপুর উপজেলার সীমানা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার করা হয়। কাজটি পায় শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৮ মাস পূর্বে ডিসেম্বর মাসে উপজেলা সদর থেকে হরিকলস নামক স্থান পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার (১৪০০ মিটার) কাজের উদ্বোধনও করা হয়। কিন্তু এই ৮ মাসে ওই দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। আর এখনও বাকি রয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ। সম্পূর্ণ কাজের মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২১ সালের ১০ মে পর্যন্ত। ওই দেড় কিলোমিটার কাজ শুরু করতেই ৮ মাস চলে গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা বলেন, এতদিন বৃষ্টির জন্য কাজ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন দ্রুত চলবে বলে তিনি জানান। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ চলছে স্বীকার করে বলেন- সেটা সরকারিভাবে তাদের তালিকায় ধরা রয়েছে। আর পরিষ্কার করা না হলে সে খোয়া তিনি পরিষ্কার করে কাজ করার জন্য তার লোকজনকে বলে দেবেন বলে জানান।-সূত্র যুগান্তর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn