বার্তা ডেক্সঃঃনভেল করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে টানা সাড়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের ২৫ শতাংশ প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দেয়নি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার নবম শ্রেণিতে ‘অটো প্রমোশন’ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেয়ারম্যানদের সভা। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বোর্ড চেয়ারম্যানদের সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক। এর আগে দুপুর ২টায় অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান, নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে আগের পাঠদান ও সংসদ টিভির পাঠদান থেকে মূল্যায়ন করা হবে। এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে ওই সভায় কোনা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ উপ সহকারী পরিদর্শক রবিউল আলম। তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা ও স্কুল খোলাসহ শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। ওই বৈঠকে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

রোনাকালে বন্ধ থাকা প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে, কিন্তু এখন্ও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অভিভাবকরা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। তারা যখন মনে করবে তখনই খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এবং সংক্রমণ এড়াতে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক স্তরের সাময়িক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা, এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনার্স, মাস্টার্সের বিভিন্ন সেমিস্টার এবং ফাইনাল পরীক্ষাও যথাসময়ে নেওয়া যায়নি। তবে সব স্তরে অনলাইন পাঠদান চলছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়েছে রেডিও ও টেলিভিশনে পাঠদান, অনলাইন ক্লাস।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn